সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভক্তরা তাঁকে বলেন ক্রিকেটের ‘ঈশ্বর’। ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। ভেঙেছেন অজস্র রেকর্ড। বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে হেন কোনও ট্রফি নেই যেটা শচীন তেণ্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) ট্রফি ক্যাবিনেটে জায়গা পায়নি। এ হেন মহাতারকার জীবনেও নাকি আফসোস থেকে গিয়েছে। দীর্ঘ ২৪ বছরের ক্রিকেট জীবনেও দুটি কাজ করে উঠতে পারেননি তিনি। তাই আজও আক্ষেপ করছেন শচীন।
কী সেই দুটি কাজ? না কোনও ট্রফি জয়, বা ব্যক্তিগত কোনও খেতাব জয় নিয়ে মাস্টার ব্লাস্টারের (Master Blaster) কোনও আক্ষেপ নেই। থাকবেই বা কী করে, ক্রিকেট বিশ্বে হেন কোনও ট্রফি নেই যা তিনি জেতেননি। তাহলে তাঁর আফসোস কীসের? শচীন বলছেন, তাঁর ক্রিকেট জীবনের প্রথম আফসোস হল সুনীল গাভাসকরের (Sunil Gavaskar) সঙ্গে না খেলা। শচীনের আগে ‘দ্য গ্রেট গাভাসকর’ই ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের আইকন। সেসময়ের অসংখ্য শিশু-কিশোরের মতো শচীনেরও পছন্দের ব্যাটসম্যান ছিলেন ‘লিটল মাস্টার’। ক্রিকেট ঈশ্বর বলছেন,”আমার দুটি আক্ষেপ থেকে গিয়েছে। প্রথমটি হল আমি কখনও গাভাসকরের সঙ্গে এক দলে খেলতে পারিনি। আমি যখন বেড়ে উঠি তখন গাভাসকরই ছিলেন আমার ব্যাটিং হিরো। তাঁকে সতীর্থ হিসেবে না পাওয়া আমার আক্ষেপ। আমার অভিষেকের বছর দুই আগেই অবসর নিয়েছেন তিনি।”
[আরও পড়ুন: টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ‘স্পেশ্যাল’ জার্সি পরে খেলবে টিম ইন্ডিয়া, ছবি পোস্ট জাদেজার]
শচীনের আরেকটি আক্ষেপ হল ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডসের (Sir Vivian Richards) বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ না পাওয়া। মাস্টার ব্লাস্টারের কথায়,”আমার আরেকটি আফসোস হল আমার ছোটবেলার নায়ক ভিভ রিচার্ডসের বিরুদ্ধে খেলতে না পারা। আমার সৌভাগ্য যে আমি ওঁর বিরুদ্ধে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলেছি। কিন্তু কখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা হয়নি। যদিও স্যর রিচার্ডস ১৯৯১ সালে অবসর নেন, আমার অভিষেকের দু’বছর পর। সেই দু’বছর একসঙ্গে খেলাকেও একে অপরের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ হয়নি।” প্রসঙ্গত, শচীন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায় পা রাখেন ১৯৮৯ সালে। গাভাসকর অবসর নেন ১৯৮৭-তে। আর রিচার্ডস অবসর নেন ১৯৯১ সালে।