দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: শুধু নকল সোনার কারবার নয়, বাংলাদেশ থেকে দুষ্প্রাপ্য মূর্তি এনে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে কুলতলির সাদ্দাম সর্দারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সিপিএম নেতা মান্নান খানের আলঘর থেকে 'এল চাপো' সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিনই তাঁকে আদালতে তোলা হচ্ছে। তার আগেই সাদ্দামের কুকীর্তি ফাঁস করলেন বারুইপুরের পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি।
সাংবাদিক সম্মেলন করে পলাশচন্দ্র ঢালি জানান, কাটা চুলের ব্যবসা করতেন সাদ্দাম। সেই চুল বিক্রির জন্য ১২ লক্ষ টাকা তাঁকে দিয়েছিলেন নদিয়ার এক ব্যবসায়ী। কিন্তু সেই চুল সরবরাহ করা হয়নি। এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল কুলতলি থানায়। সেই সূত্র ধরে গত ১৫ দিন যাবৎ সাদ্দামকে খুঁজছিল পুলিশ। খোঁজ পেয়ে ১৫ জুলাই পুলিশ অভিযান চালায়। সাদ্দামকে ধরতে গেলে এলাকার বহু মহিলা-পুরুষ বেরিয়ে এসে তাদের ঘিরে ধরে। সইরুল নামে এক যুবক বন্দুক বের করে ভয় দেখায়। সাদ্দামকে টেনে নিয়ে চলে যায়।
[আরও পড়ুন: বেহাল রাস্তা দেখে ‘দাবাং’ কীর্তি, স্টোনচিপ তুলে ইঞ্জিনিয়ারের পকেটে ঢোকালেন সাংসদ!]
এর পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সাদ্দাম। শেষ পর্যন্ত ঠাকুরানি নদী ঘেঁষা আলাঘর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাম নেতার মান্নান খানের আলাঘরেই লুকিয়ে ছিলেন। ১৪ দিনের হেফাজতে চাইছে পুলিশ। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, নকল সোনার মূর্তির বিক্রির পাশাপাশি কাটা চুল বিক্রির ব্যবসাও ফেঁদেছিলেন সাদ্দাম। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে দুষ্প্রাপ্য মূর্তি এনেও বিক্রি করল সে।