জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: স্বামী নিরুদ্দেশ হয়েছেন বছর তিনেক হল। নানা জায়গায় সন্ধান করেও খোঁজ পাননি স্ত্রী। শেষমেশ এলাকার এক সাধুর কাছে যান মহিলা। আর সেখানে গিয়েই জীবনের চরম পরিণতির শিকার হলেন তিনি। সাগরেদদের নিয়ে গৃহবধূকে লাগাতার গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগ উঠেছে ওই ভণ্ড সাধুর বিরুদ্ধে। অপমানে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন বনগাঁর গৃহবধূ। পরিবারের দাবি, তিনি চিঠি লিখে গিয়েছেন। মৃতার ভাই বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
বনগাঁ (Bongaon) থানার কালুপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ওই গৃহবধূ৷ তিন বছর আগে তাঁর স্বামী ছোট সন্তান ও তাঁকে ফেলে আন্দামানে চলে যান। তারপর আর ফেরেননি। তাঁর খোঁজ পেতে প্রতিবেশী কয়েকজনের পরামর্শে সুকুমার দাস নামে এক সাধুর কাছে গিয়েছিলেন মহিলা। অভিযোগ, সুকুমার তাঁর স্বামীকে ফিরিয়ে আনবে বলে আশ্বাস দেয়। গৃহবধূকে এরপর সে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। প্রায় একবছর ধরে সুকুমার ও তার সাগরেদরা মিলে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: অবৈধ বালি পাচার রুখতে গিয়ে আক্রান্ত ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা, হামলা পুলিশের গাড়িতেও]
এরপর ওই গৃহবধূ সাধুর কীর্তি ফাঁস করে দিতে চাইলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ, শুধু মহিলারই নয়, তাঁর স্বামীর সর্বনাশ করে দেওয়ার হুমকি দেয় সুকুমার দাস ও তার সাগরেদরা। এই চাপ আর সহ্য করতে পারেননি গৃহবধূ। সোমবার সেখান থেকে বাড়ি ফিরে তিনি কাগজে বিস্তারিত সব লিখে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ পরিবারের।
[আরও পড়ুন: ‘আপনার নেতৃত্বে প্রযুক্তিতে উন্নতি করেছে ভারত’, মোদিকে বললেন গুগল CEO]
সুকুমার দাস ও তার দলবলের বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার ভাই। তারপর থেকে এলাকাছাড়া ভণ্ড সাধু। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষুব্ধ। চরিত্র নিয়ে কথা উঠছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।