সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিটি হিন্দু দম্পতির চারটি করে সন্তানের জন্ম দেওয়া উচিত এবং তার মধ্যে দু’টি সন্তানকে দেশরক্ষার কাজে আরএসএসের হাতে তুলে দেওয়া অবশ্য কর্তব্য। বাকি দুই সন্তানকে নিজেদের কাছে রাখতে পারে তাদের পরিবার। এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সাধ্বী ঋতাম্ভরা। ভারত যেন ইসলামিক রাষ্ট্র না হয়ে যায়, সেই কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন তিনি। রামোৎসব উপলক্ষে কানপুরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (VHP) একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন হিন্দুরাষ্ট্রের মতাদর্শে বিশ্বাসী ঋতাম্ভরা।
ঋতাম্ভরা বলেছেন, “দু’টি সন্তানের ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে হিন্দুদের। কমপক্ষে চারটি সন্তানের জন্ম দিতে হবে হিন্দু দম্পতিকে। এর মধ্যে দু’জন থাকবে পরিবারের কাছে। বাকি দু’জনকে উৎসর্গ করতে হবে দেশের কাজে।” কীভাবে দেশের কাজ করবে তারা? সেই উত্তরে ঋতাম্ভরা জানিয়েছেন, “আরএসএস বা বিশ্ব হিন্দু পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে তাদের, যেন দেশের উন্নয়ন যজ্ঞে তারা শামিল হতে পারে। দেশের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই হতে পারে না।”
[আরও পড়ুন: আজান বিতর্কের জের, অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় স্থানে বাজানো যাবে না লাউডস্পিকার, নির্দেশিকা মহারাষ্ট্রের]
দিল্লিতে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় সাম্প্রদায়িক অশান্তির (Communal Clash) ঘটনা ঘটে। মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। সেই প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, “যারা ভারতের সাফল্য দেখে ঈর্ষান্বিত, তারাই হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে পাথর মেরেছে। এই ধরনের কাজ হিন্দুদের উত্যক্ত করে, মুসলিমদের সেটা বোঝা উচিত।” রামোৎসব উপলক্ষে ঋতাম্ভরা বলেন, “রামচন্দ্রের ভক্ত হওয়া অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়।” রাজনৈতিক দলগুলি হিন্দুদের বিভক্ত করে দিয়েছে বলে মনে করেন তিনি। কিন্তু রামচন্দ্রই পারেন সকল হিন্দুকে একত্রিত করতে, এমনটাই বিশ্বাস তাঁর।
প্রসঙ্গত, এই একই সভায় লাভ জিহাদ নিয়ে মুখ খোলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় সভাপতি মিলিন্দ পারান্ডে। তিনি বলেন, “একসময় সীতাকে হরণ করেছিল রাবণ। শাস্তিস্বরূপ সে নিজেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।” মিলিন্দ পারান্ডে বোঝাতে চাইলেন, কড়া হাতে দুষ্টের দমন করতে হবে।