নব্যেন্দু হাজরা: দেশজুড়ে মোদি ঝড় অব্যাহত। তারই মধ্যে ফের ভোট। ছ’বছর পর আগস্টেই হতে চলেছে রেলে নির্বাচন। পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব, মেট্রোরেল-সহ দেশের মোট ১৮টি অঞ্চলেই হবে ভোট। আর সেখানেই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় স্বীকৃত ইউনিয়নের দখল পেতে এবার বিজেপিকে রোখাই মূল লক্ষ্য সিটু এবং আইএনটিইউসি-র। পূর্ব রেলে বর্তমানে স্বীকৃত ইউনিয়ন রয়েছে ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়ন এবং ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস কংগ্রেসের। তবে সেখানে বিজেপির সংগঠনও রয়েছে৷ নাম – পিআরকেএস। কিন্তু স্বীকৃত নয়।
[ আরও পড়ুন: ‘হেলমেট না পরলে গুলি করব’, যোগীর রাজ্যে পুলিশের নৃশংসতার ভিডিও প্রকাশ্যে]
গত নির্বাচনে সেভাবে বিজেপি-র রেল কর্মচারী সংগঠন দাঁত ফোটাতে পারেনি। ৩৫ শতাংশ ভোট না পেলে ইউনিয়ন স্বীকৃতি পায় না। এবারের গেরুয়া শিবিরের পরিস্থিতি অবশ্য ভিন্ন। তাই রাজনীতির পালে হাওয়া তুলে রেলেও স্বীকৃত ইউনিয়ন দখল করতে এবার মরিয়া বিজেপি। মেনস ইউনিয়ন এবং মেনস কংগ্রেসের ভোট ভাঙাতে নেমে পড়েছে তারা। পালটা নিজেদের ঘর গোছাতে ময়দানে মেনস ইউনিয়ন এবং মেনস কংগ্রেসও।
তবে ইস্টার্ন রেলে এই দুই দল মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও মেট্রোর ভোট আবার কিছুটা আলাদা। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। যার সভাপতি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। বর্তমানে এখানে স্বীকৃত ইউনিয়ন হিসাবে রয়েছে মেট্রো রেলওয়ে মেনস ইউনিয়ন। তাদের সঙ্গে মূল লড়াই আইএনটিইউসি এবং তৃণমূলের প্রগতিশীল মেট্রো রেলেওয়ে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের মধ্যে। বিজেপির সংগঠন মেট্রো রেলওয়ে কর্মচারী সংঘ এখানে থাকলেও ভোট জোটে নামমাত্র।
কিন্তু বিজেপি হাওয়ায় এবার লড়াইয়ে তাঁরাও। ফলে এবার লড়াই চতুর্মুখী। যে কারণে ভোট কাটাকুটির অঙ্কে ফের মেনস সংগঠন জিতে যেতে পারে বলেই মনে করছেন মেট্রোর কর্মচারীরা। আর তাই কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জোটের সম্ভাবনা প্রবল। সূত্রের খবর, জোটের বিষয়ে একপ্রস্ত আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত হয়নি।
[ আরও পড়ুন: ‘টার্গেট মিস করিনি’, জোরাল দাবি বালাকোটে হামলাকারী বায়ুসেনার পাইলটের]
লোকসভা ভোটের রেশ কাটতে না কাটতেই নির্বাচন ঘিরে সরগরম রেলের অন্দরে। আর গেরুয়া ঝড়ে তা এবার অন্য মাত্রা পেয়েছে। এখানে এবার নিজেদের ঘর বাঁচানোই চ্যালেঞ্জ কংগ্রেস ও সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের। তবে মেট্রোয় বিজেপির সংগঠন সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না বলেই মনে করছে বাকিরা। প্রগতিশীল মেট্রো রেলেওয়ে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সুশান্ত রায় বলেন, “কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা নেবেন সভাপতি মদন মিত্র। মেনসকে আমাদের হারাতেই হবে।” অন্যদিকে মেট্রো রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের সভাপতি দিলীপ কুমার দে বলেন, “আগস্টে ভোট ঘোষণা হয়েছে। আমরা সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুত। তবে জোট হলে লড়াই একটু কঠিন তো হবেই।”
The post আগস্টেই রেলে নির্বাচন, মোদি হাওয়ায় আধিপত্য খোয়ানোর আশঙ্কায় বাম-কংগ্রেস appeared first on Sangbad Pratidin.