সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক দিন ধরে খোঁজ চালানোর পর অবশেষে রবিবার পুলিশের জালে ধরা পড়ে যান অলিম্পিকে পদকজয়ী কুস্তিগির সুশীল কুমার (Sushil Kumar)। যাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে খুনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সেই ঘটনাতেই এবার সুশীলকে ৬দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।
২৩ বছরের তরুণ কুস্তিগির সাগর রানার হত্যাকাণ্ডে নাম জড়ায় সুশীলের। তাঁর পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় এই মামলার আরেক অভিযুক্ত অজয় কুমারকেও। তাঁকেও ৬দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় রোহিনী কোর্ট। যদিও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের আরজি জানিয়েছিল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)।
[আরও পড়ুন: করোনাই কাল! চলতি বছর ঠাসা ক্রীড়াসূচির জন্য ২০২৩ পর্যন্ত স্থগিত এশিয়া কাপ]
ঘটনা গত ৪ মে’র। দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামের পার্কিং লটে সুশীল কুমার এবং তাঁর কয়েক জন সঙ্গীর সঙ্গে ঝামেলা হয় সাগর রানার। ঝামেলায় মারপিটের জেরে মৃত্যু হয় বছর তেইশের ওই কুস্তিগিরের। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় দু’বারের অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগির সুশীলের। প্রথমে তিনি এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু দেখা যায়, ঘটনার পর থেকেই সুশীলের আর কোনও খোঁজ নেই। তাঁর ফোনও বন্ধ। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করে। সেখানে প্রত্যেকেই সুশীল কুমারের দিকে আঙুল তোলেন। এরপরই ফোন লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁকে এদিন গ্রেপ্তার করা হয়। গোটা ঘটনা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ক্রীড়াজগতের। অনেকেই মনে করছেন, এতে ভারতীয় কুস্তির নাম কলঙ্কিত হল। অনেকের আবার দাবি, অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই কাঠগড়ায় তোলা উচিত নয়।
এদিকে, ছেলের বিচার পেতে পুলিশ ও আদালতের উপর আস্থা রাখছেন সাগরের বাবা অশোক। তাঁর দাবি, সুশীল কুমারের বিরুদ্ধে সাগরকে হত্যার একাধিক প্রমাণ রয়েছে। তিনি ন্যায়বিচারই পাবেন।