সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাগর রানা হত্যাকাণ্ডে এবার দু’বারের অলিম্পিক পদকজয়ী সুশীল কুমারকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল রোহিনী আদালত।
পুলিশি হেফাজতে মেয়াদ ফুরনোয় বুধবারই তাঁকে আদালতে পেশ করে দিল্লি পুলিশ। সেখানেই তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও আরও তিনদিন তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সে আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। বলা হয়, ১০দিন পুলিশি হেফাজতে ছিলেন সুশীল। আর তাঁকে সেখানে রাখার কোনও যুক্তি নেই।
[আরও পড়ুন: ‘উপরের ঘরে স্মিথ থাকলে, রাতে একদমই ঘুমাতে পারবেন না,’ ‘অভিযোগ’ ওয়ার্নারের]
ইতিমধ্যেই গত ৪ মে দিল্লির ছত্রশাল স্টেডিয়ামে সাগর রানাকে খুনের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যে ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, স্টেডিয়ামের পার্কিং এলাকায় সুশীল ও তাঁর দলবল সাগর-সহ তাঁর বন্ধুদের লাঠি পেটা করছেন। সুশীলের হাতেও মোটা লাঠি। যা সুশীলের বিরুদ্ধে বড়সড় প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে। আর তারই মধ্যে পুলিশের জালে ধরা পড়া নবম অভিযুক্ত বিন্দালের বিস্ফোরক অভিযোগ, তারকা কুস্তিগিরের কথাতেই সাগরকে মারধর করা হয়েছিল। আবার তদন্তকারীদের জেরায় সুশীল নাকি স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি রানাকে উচিত শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। তাই মারধরের পরিকল্পনা। কিন্তু খুন করতে চাননি কখনওই।
সোমবারই এই ঘটনার তদন্তের সার্থে সুশীলকে হরিদ্বার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রথমে এভাবেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। পালিয়ে বেড়ানোর সময় তিনি কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, কারা তাঁকে লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করেছিল, সেসব জানার চেষ্টা করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৩ জন জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। যার মধ্যে ন’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সঙ্গে এও জানা গিয়েছে, সিম কার্ডের মাধ্যমে যাতে তাঁকে ট্র্যাক না করা যায়, তার জন্য টেলিগ্রাম অ্যাপ ও ইন্টারনেট ডঙ্গল ব্যবহার করতেন সুশীল।