সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুনীল ছেত্রীর (Sunil Chhetri) অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তে গোটা দেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের মতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন শ্যালক সাহেব ভট্টাচার্যও (Saheb Bhattacharya)। অভিনেতার কথায়, "৯ নম্বর জার্সির তুখর পারফরম্যান্স আর মাঠে দেখা যাবে না, এটা খুবই কষ্টের। আরও দু-তিন বছর নিশ্চিন্তে খেলতে পারতেন। তবে ঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।" বাবা সুব্রত ভট্টাচার্যের মতো সাহেবও ফর্মে থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তে সায় দিলেন।
অভিনেতা জানালেন, ফুটবল কিংবদন্তীর অবসরের পরিকল্পনার মুহূর্তের কথা। বাড়িতে ঠিক কীরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, সুনীলের অবসর ঘোষণার কথা শুনে? সাহেব জানালেন, "শুনে প্রথমে সুনীলের মা, আমার মা-বোন সকলেই কেঁদে ফেলেছিলেন।" সাহেব ভট্টাচার্য এইমুহূর্তে ব্যস্ত 'কথা' সিরিয়াল নিয়ে। তার ফাঁকেই বোন-জামাই সুনীলের অবসর-পরবর্তী পরিকল্পনা জানালেন। অভিনেতার কথায়, ছেলে ধ্রুবর সঙ্গে ব্যস্ততার জন্য সময় কাটাতে পারতেন না 'অধিনায়ক'। এখন ওকে সময় দিতে পারবেন অনেকটাই। ভারাক্রান্ত মন নিয়েই সাহেব কিন্তু একথাও মনে করিয়ে দিলেন যে, ক্লাব ফুটবলে খেলতে দেখা যাবে সুনীল ছেত্রীকে।
[আরও পড়ুন: ‘রন্ধনে বন্ধনে’ গৌরব-রিধিমার সুখী হেঁশেল, জনপ্রিয়তায় টেক্কা দেবে ‘সুদীপার রান্নাঘর’কে?]
২০১৭ সালে সুব্রতকন্যা সোনম ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সুনীল ছেত্রী। শ্যালক সাহেব তো বটেই এমনকী পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও শরীর সচেতনতার জন্য ফুটবলার 'জামাই'কে অনুসরণ করেন। কলকাতার জামাই সুনীল ছেত্রী। ফুটবল কেরিয়ারের গোড়ার দিকে খেলেছিলেন মোহনবাগানের জার্সি গায়ে। পরবর্তীতে ইস্টবেঙ্গলের হয়েও খেলেছেন। আগামী ৬ জুন সেই শহর তিলোত্তমাতেই জীবনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলবেন কিংবদন্তি। অর্থাৎ, 'ভারতীয় ফুটবলের মক্কা' কলকাতা থেকেই ফুটবলকে বিদায় জানাতে চলেছেন সুনীল। বৃহস্পতিবার তাঁর অবসরের সিদ্ধান্ত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে! বিদায়বেলায় ক্রীড়াপ্রেমীদের বার্তার বন্যায় ভাসছে সোশাল মিডিয়া।