ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পুজোর আগে রাজ্যের বিধায়কদের জন্য সুখবর। একধাক্কায় ৪০ হাজার টাকা বেতন বাড়ল তাঁদের। এতদিন মাত্র মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন পেতেন তাঁরা। এবার তা বেড়ে দাঁড়াল মাসিক ৫০ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবার থেকে কত টাকা হাতে পাবেন বিধায়করা?
এতদিন যাবৎ বিধায়করা বেতন হিসেবে মাসে হাতে পেতেন ১০ হাজার টাকা। অন্যান্য ভাতা ও বৈঠকে যোগ দিলে সেই বাবদ মাসিক প্রাপ্য দাঁড়াত ৮০-৮২ হাজার টাকা। এবার সেই প্রাপ্য বেড়ে দাঁড়াবে লাখ টাকার বেশি।
[আরও পড়ুন: ‘৯৯% পয়লা বৈশাখের পক্ষে’, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিধানসভায় পাশ ‘বাংলা দিবস’ বিল]
একনজরে বেতন বৃদ্ধির হিসাব
পূর্ণমন্ত্রীদের মোট বেতন ভাতা-সহ
ছিল ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা
বর্তমানে দাঁড়াল ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা
রাষ্ট্রমন্ত্রীদের মোট বেতন ভাতা-সহ
ছিল ১ লক্ষ ৯ হাজার ৯০০ টাকা
দাঁড়াল ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯০০ টাকা
বিধায়কদের মোট বেতন ভাতা-সহ
ছিল ৮১ হাজার টাকা
দাঁড়াল ১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা
[আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে সই করতে দেব না, বাংলা দিবসের পরিণতি হবে ‘বাংলা’ নামের মতোই, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর]
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিধায়করা সবচেয়ে কম টাকা বেতন পায়। তাঁরা মাসে ১০ হাজার টাকা বেতন পেতেন। এবার ৪০ হাজার টাকা বাড়ল।” তিনি আরও জানান, “সাংসদ হিসেবে ১ লক্ষ টাকা পেনশন পেতাম। কিন্তু নিইনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও বেতন নিই না। মা-মাটি-মানুষের সরকার। আমার চলে যায়।” এরপরই তাঁকে বেতন নিতে অনুরোধ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য আর্থিক সংকটে রয়েছে বলে একাধিকবার দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার দরুন বকেয়া ডিএ মেটাতে পারেনি রাজ্য সরকার। এর মাঝেই দুর্গাপুজোর জন্য় ক্লাবগুলির বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং বিধায়কদের বৃদ্ধি নিয়ে স্বাভাববিকভাবেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।