সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে, ততই হিজাব বিতর্কের আঁচ ছড়াচ্ছে দেশজুড়ে। এখনও শিরোনামে কর্ণাটকের কলেজের বোরখা পরিহিত ছাত্রী। যিনি একদল উন্মত্ত হিন্দুত্ববাদী যুবকের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির পালটা ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চেঁচিয়ে উঠেছিলেন নির্ভয়ে। পরে শোনা যায়, মুসকান খান নামের সেই ছাত্রীর প্রশংসা করে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন বলিউডের দুই সুপারস্টার সলমন খান ও আমির খান! মুসকানকে নাকি মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার দিয়েছেন তাঁরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায়
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যায়, কর্ণাটকের (Karnataka) একটি কলেজে একদল হিন্দুত্ববাদী যুবকের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনির পালটা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান তুলেছিলেন বোরখা পরা মুসকান। তরুণীর সাহসিকতার প্রশংসা করেন নেটাগরিকরা। তারপরই ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন পোস্ট। যেখানে দাবি করা হয়, বি-টাউনের ভাইজান সলমন নাকি বোরখা পরিহিতা মুসকানের সাহসিকতার জন্য তাঁকে পুরস্কৃত করেছেন। আর্থিক পুরস্কার দিয়েছেন আমির খানও। ওই ছাত্রীকে ৩ কোটি টাকা দিয়েছেন তাঁরা! শুধু তাই নয়, তুরস্কের সরকারও নাকি পুরস্কৃত করতে চলেছে ওই তরুণীকে। তাদের তরফে ২ কোটি টাকা দেওয়া হবে মুসকানকে।
হিজাব বিতর্ক নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি সলমন কিংবা আমির খান। অথচ তরুণীর সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাতে তাঁরা কত আর্থিক পুরস্কার দিচ্ছেন, এ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়। অনেকেই এমন খবর বিশ্বাসও করেন। কিন্তু বিষয়টি খতিয়ে দেখে একটি ফ্যাক্ট চেকার সংস্থা জানাচ্ছে, এমন রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। দুই সুপারস্টার এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি। এমনকী তুরস্ক সরকারের তরফেও এ নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি।
তবে ইতিমধ্যেই তরুণীর পাশে দাঁড়িয়েছে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ (Jamiat Ulama-i-Hind)। ওই তরুণীর জন্য ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছে তারা। কিন্তু আমির-সলমন নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে যে খবর ছড়িয়েছে, তা গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়।