সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেই একই পরিস্থিতি ভারতেও তৈরি হতে পারে।' এমনই মন্তব্য করে জাতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি করলেন কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ। কংগ্রেস নেতার মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিজেপি। অভিযোগ তোলা হয়েছে, নির্বাচনে হেরে পিছনের দরজা দিয়ে অরাজকতা ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস।
মঙ্গলবার দিল্লিতে শিক্ষাবিদ মুজিবুর রহমানের 'শিকবা-ই-হিন্দ' নামক একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন খুরশিদ। সেখানেই তিনি বলেন, 'খালি চোখে কাশ্মীরে সবকিছু স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে। এখানেও সবকিছু স্বাভাবিক। আমরা জয়ের উৎসবে মেতে। তবে কিছু মানুষ মনে করেন এই জয় অতি সামান্যই। অনেক কিছু করার প্রয়োজন রয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'মাটিতে দাঁড়িতে সবকিছু স্বাভাবিক দেখায়। কিন্তু মাটির নিচে অনেক কিছু ঘটে। বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা এখানে এই দেশের ঘটতে পারে।' এ প্রসঙ্গে সিএএ ইস্যুতে দিল্লির শাহিনবাগ আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, এখন আমি যদি বলি সেই শাহিনবাগ আরও ছড়াচ্ছে তবে আপনারা প্রশ্ন করবেন কেন একথা বলছি? আমরা মনে করি সেই আন্দোলন সফল ছিল। কিন্তু এটাও জানি সেই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ এখনও জেলবন্দি। সেই ঘটনার পর কয়জন জামিন পেয়েছেন? আজও সেই আন্দোলনের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তাঁদের শত্রু বলা হয়।'
[আরও পড়ুন: হাসিনাকে আশ্রয় দিতে ‘সংকোচ’ ভারতের, কেন?]
খুরশিদের মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর পালটা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপি। গেরুয়া নেতা সম্বিত পাত্র বলেন, রাহুল গান্ধী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন এই দেশ জ্বলবে, দাঙ্গা হবে। আর এখন কংগ্রেস নেতা খুরশিদ যে মন্তব্য করলেন তাতে স্পষ্ট যে নির্বাচনে হেরে পিছনের দরজা দিয়ে দেশে নৈরাজ্য ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রণবীর সিং বিট্টু বলেন, কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদের বাংলাদেশে চলে যাওয়া উচিত। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, মোদিকে ঘৃণা করতে করতে এরা দেশকে ঘৃণা করতে শুরু করেছে। ভারতে বাংলাদেশের মতো হিংসা চালাতে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে কোটা বিরোধিতা থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল মোড় ঘুড়ে তা সরকার বিরোধী রূপ নেয়। ভয়াবহ হিংসায় শত শত মানুষের মৃত্যু হয় প্রতিবেশী দেশে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যায় যে ছাত্র আন্দোলনের চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয় শেখ হাসিনাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।