সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সল্টলেক কাণ্ডে (Salt Lake) প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটের ছত্রে ছত্রে লেখা তাঁর অবসাদের কথা। স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে নিত্য অশান্তি। আর যার কারণেই চরম সিদ্ধান্ত! নোটে স্ত্রীকে খুনের কথা স্পষ্টভাষায় লিখেছেন চিকিৎসক। বলেছিলেন, আত্মঘাতী হবেন তিনি। কিন্তু ঘটনাচক্রে প্রাণে বেঁচে যান।
কিন্তু কেন এই অবসাদ? জানা গিয়েছে, চিকিৎসক যদুনাথ মিত্রের দুই মেয়ে। একজন থাকেন কলকাতায়। অপরজন সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা। বৃদ্ধদম্পতি একাই থাকতেন। সুইসাইড নোট অনুযায়ী, ওই বৃদ্ধের একটা গাড়ি ছিল। কিন্তু ব্যবহার হত না বলে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বেচেও দেন। পরবর্তীতে ওই গাড়ির বিরুদ্ধে ট্রাফিক রুল ভাঙার অভিযোগ ওঠে। দাবি, বিক্রির সমস্ত নথি থাকা সত্ত্বেও বৃদ্ধ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেননি। যার জেরে স্ত্রী-মেয়ে ভর্ৎসনা করে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: আত্মপ্রচারেই ব্যস্ত নেতারা! ভোটের বাজারেও ধুঁকছে পুরুলিয়ায় তৃণমূলের সোশ্যাল সাইট]
এখানেই শেষ নয়। ওই চিকিৎসকের নিউটাউনে একটি জমি ছিল। যা কোটি টাকায় বিক্রি হয়। তা নিয়েও স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে বৃদ্ধের অশান্তি হয়। তাঁরা বৃদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই সব ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন ওই বৃদ্ধ। যার পরিণতি হল ভয়ংকর। ক্ষোভে স্ত্রীকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন বৃদ্ধ। তার পর অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু প্রাণে বেঁচে যান বৃদ্ধ। প্রসঙ্গত, পুলিশ জানিয়েছে, সুইসাইট নোট থেকেই এই অবসাদের কথা জানা গিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বৃদ্ধার মেয়ে, পরিচারিকা ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য থাকলে দ্রুত তা জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে সুইসাইড নোট অনুযায়ী পুলিশ নিশ্চিত যে, স্ত্রীকে খুনের পর অ্যাসিড খেয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধ।