সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার রাজ্যসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে ৮টি আসনে জিতল বিজেপি (BJP)। সমাজবাদী পার্টি জিতল দুই আসনে। অখিলেশের দলের দুই নির্বাচিত প্রার্থীর মধ্যে অন্যতম জয়া বচ্চন। তিনিই সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেন। ৪১ জন সদস্য তাঁকে ভোট দিয়েছেন। সমাজবাদী পার্টির অন্য জয়ী প্রার্থী দলিত নেতা রামজিলাল সুমন।
অভিনয় দিয়ে জীবন শুরু করলেও রাজনৈতিক কেরিয়ারেও নজর কেড়েছেন জয়া (Jaya Bachchan)। এর আগেই চার বার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। ২৭ ফেব্রুয়ারির জয়ের ফলে পঞ্চমবারের জন্য সাংসদ হলেন বর্ষীয়ান নেত্রী। এর আগে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের সামনেই মেজাজ হারিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন জয়া। তবে পরে তিনি ক্ষমাও চেয়ে নেন। এবার ফের রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) নয়া ইনিংস শুরু করতে চলেছেন জয়া বচ্চন।
[আরও পড়ুন: ‘হিরো’ সাজা বাইকচালকদের সতর্কবার্তা, রোহিতের বার্তা হাতিয়ার রাজ্য পুলিশের]
এদিকে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) বিজেপি ৭ ও সমাজবাদী পার্টি ৩ জনকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারত। কিন্তু বিজেপি আরও একজন প্রার্থীকে মনোনীত করে একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেয়। ৪০৩ সদস্যের কক্ষে বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টির বিধায়কের সংখ্যা যথাক্রমে ২৫২ ও ১০৮। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টির জোটসঙ্গী কংগ্রেসের কাছে রয়েছে দুই আসন। রাজ্যসভা নির্বাচনের আগেই ক্রসভোটিং নিয়ে গুঞ্জন ছিল। বিশেষত ৮ জন সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক দলীয় বৈঠকে উপস্থিত না থাকায়। মঙ্গলবার ‘নাটক’ আরও জমে ওঠে যখন অখিলেশের দলের বিধায়ক মনোজকুমার পাণ্ডে মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দেন। নির্বাচনে ৭ জন ক্রসভোটিং করলে অখিলেশ বলেন, তাঁর দল তৃতীয় এক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে চায়। এর উদ্দেশ্যই হল ‘বিদ্রোহী’দের চিহ্নিত করা।
মঙ্গলবার সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও কর্নাটক ও হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ভোটাভুটি হয়। কর্নাটকে হাত শিবিরের অজয় মাকেন, জি সি চন্দ্রশেখর ও সইদ নাসির হুসেন এবং বিজেপির নরাংশ কে ভাঙড়ে নির্বাচিত হন। অন্যদিকে হিমাচলে বিজেপির হর্ষ মহাজনের জয় কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা। এই হার কেবল একটি হার মাত্র নয়। বুধবারই রাজ্যের বাজেট পেশের সময় এটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এদিকে হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের ইঙ্গিত, সুখবিন্দর সুখুর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে। ইতিমধ্যে বুধবারই রাজ্যপালের কাছে আস্থা ভোটের আর্জি জানিয়েছে পদ্ম শিবির।