সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পূর্ণ সুস্থ না হয়েই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র (Sambit Patra)। করোনা উপসর্গ নিয়ে ২৮ মে তিনি হাসপাতালে ভরতি হন। সোমবার তাঁকে গুরগাঁওয়ের মেদান্ত হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন বিজেপি নেতা তথা দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। মঙ্গলবার সকালে টুইট করে নিজেই একথা জানান। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে ওঠেননি তিনি। তাই কটা দিন বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠতে চান। গুরগাঁওয়ের মেদান্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিজেপি মুখপাত্র। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে তাঁর আরও কয়েকটা দিন সময় লাগবে বলে এদিন টুইটে লেখেন বিজেপি নেতা।
প্রায় ২ সপ্তাহ আগে ২৮ মে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয় বিজোপি নেতাকে। তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলেই জানা যায়। বিজেপি নেতার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বেগ দেখা যায় গেরুয়া শিবিরে। তাঁর সুস্থতার কামনা করে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া-সহ বেশ কিছু বিজেপি নেতাদের টুইট করতেও দেখা যায়। জাতীয় বিজেপির অন্যতম মুখ সম্বিত পাত্র। টেলিভিশনে বহু ডিবেট অনুষ্ঠানে বিজেপির হয়ে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি খুবই সপ্রতিভ। টুইটারে প্রায় ৪৪ লাখ ফলোয়ার্স রয়েছে তাঁর। উল্লেখ্য, হাসপাতালে ভরতি হওয়ার দিনও টুইটারে সক্রিয় ছিলেন সম্বিত পাত্র। হাসপাতাল থেকে ফিরেও সেই কাজের অন্যথা হল না নিজেই টুইট করে বাড়ি ফেরার কথা জানান অনুগামীদের।
[আরও পড়ুন:এবার শপিংমলে প্রবেশ করতে দিতে হবে ১০০ টাকা! ভিড় কমাতে সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের]
তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও বিজেপি নেতা সম্পূর্ণ সুস্থ নন, একথা জানার পরই অধিকাংশ মহলে তাঁর দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পুরোপুরি সুস্থ না হয়ে কেন তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এলেন এই নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন সম্বিত পাত্র। একদিকে দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমতাবস্থায় কী করে তিনি বাড়ি ফিরলেন? হাসপাতাল থেকেই বা তাঁকে কেন বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হল তাই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ইতিমধ্যেই বিস্তর জলঘোলা হতে শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন:হটস্পট এলাকার ৩০ শতাংশ বাসিন্দাই করোনা সংক্রমিত! দাবি ICMR-এর সমীক্ষায়]
The post পুরোপুরি করোনা মুক্ত না হয়েই বাড়ি ফিরেলেন বিজেপি নেতা! জোর সমালোচনা রাজনীতির অন্দরে appeared first on Sangbad Pratidin.