সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: প্রার্থী ঘোষণার দিনই রাতের দিকে ‘বিজেপি ফর বেঙ্গল’ নামে টুইটারে পোস্ট করে বিজেপি জানায় পুরুলিয়া কেন্দ্রের প্রার্থী সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দু’জায়গায় ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে। একটি মানবাজার (২৪৩) আরেকটি পুরুলিয়া (২৪২)। সেই দুটি পাতার ছবি সেখানে তুলে ধরে সমগ্র পোস্টটি ভাইরাল করে। অথচ মানবাজার বিধানসভায় ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য গত ২৬ ফেব্রুয়ারিই তিনি আবদেন করে ছিলেন কমিশনের কাছে। কিন্তু ভোটের সময়ে গত ৫ মার্চের আগে তার প্রক্রিয়া শুরু না করায় কমিশন–বিজেপি আঁতাতের অভিযোগ তুললেন সভাধিপতি তথা পুরুলিয়া কেন্দ্রের প্রার্থী সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার দুপুরে পুরুলিয়া (Purulia) জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, “আমার মানবাজার বিধানসভায় পুঞ্চায় ভোটার তালিকায় নাম ছিল। দল আমাকে পুরুলিয়া বিধানসভায় প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দলের নির্দেশে আমি পুরুলিয়া বিধানসভায় ভোটার তালিকায় নাম তুলি। ফলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মানবাজার বিধানসভা থেকে আমার নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন জানাই। অথচ তার প্রক্রিয়া শুরু হয় ৫ মার্চ। কেন আমার আবেদনের আট দিন পর কমিশন প্রক্রিয়া শুরু করল? বিজেপি যাতে অপপ্রচার করতে পারে সেই জন্য? আবারও বলছি বিজেপি-কমিশনের আঁতাঁত রয়েছে। এভাবে মিথ্যার বেসাতি করে, জালিয়াতি করে পুরুলিয়ায় তৃণমূলকে রোখা যাবে না।”
[আরও পড়ুন: ভোটের আবহে নয়া আতঙ্ক, রাজ্যে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ‘বিদেশি’ করোনায় সংক্রমিত ছ’জন]
কয়েকদিন আগে পুরুলিয়ার কাশীপুরে এসে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, জৈবপ্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, কেন্দ্রের কমিশনগুলি সব বিজেপির মুখপাত্র। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করবে এই আশা করি। কিন্তু পুরুলিয়ার ঘটনায় কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। পুঞ্চার বিডিও অনিন্দ্য ভট্টাচার্য বলেন, “সুজয়বাবু বর্তমানে পুরুলিয়া বিধানসভার ভোটার। মানবাজার বিধানসভা থেকে তাঁর নাম যাতে বাদ দেওয়া হয় সেই বিষয়ে উনি আবেদন করেছেন।”
তার ভিত্তিতে খতিয়ে দেখে মানবাজার মহকুমাশাসক কার্যলয় থেকে ডিসপোজাল সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়েছে। তবে বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, “কমিশন কমিশনের মতো কাজ করছে। আমরা রাজনৈতিক দল নিজেদের কাজ করছি।” এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের শিক্ষা–সংস্কৃতি–তথ্য–ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুরুপদ টুডু, জেলা পরিষদের কো–মেন্টর জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।