আলাপন সাহা: গত কয়েক মাসে আমূল বদলে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। প্রথমে ঘরের মাঠে ভারতীয় দলকে ওয়ান ডে সিরিজে হারানো। তারপর ইংল্যারন্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়। স্বাভাবিকভাবেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে এখন সুখের আবহ চলছে। ইংল্যান্ডে প্রথম দুটো টেস্ট হারলেও ওভালে আট উইকেট জয় পায় ধনঞ্জয় ডি’সিলভার টিম।
গত এক দশকে ইংল্যান্ডের মাটিতে শ্রীলঙ্কার এটা প্রথম জয়। টিমের এহেন সাফল্যের নেপথ্যে একজনের বড় ভূমিকা রয়েছে। তিনি সনৎ জয়সূর্য। শ্রীলঙ্কার অন্তবর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জয়সূর্যকে। শেষ দুটো সিরিজে টিমের যেরকম পারফরম্যান্স, তাতে জয়সূর্যকে পাকাপাকিভাবে কোচের দায়িত্ব দেওয়া যায় কি না, সেটা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলবে শ্রীলঙ্কা। দুই টেস্টের সিরিজ। জয়সূর্যকে ওই সিরিজেও কোচের দায়িত্বে রেখে দেওয়া হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: প্যারিস অলিম্পিকে রাজনীতি হয়েছে! পিটি উষার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ভিনেশ]
যদিও বেশ কিছুদিন আগে নতুন কোচের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। অনেক আবেদন জমা পড়েছে। তাতে বেশ কিছু বড় নামও আছে। তবে নতুন কোচ নিয়োগের ব্যাপারটা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বরং জয়সূর্যর সাফল্য দেখে তাঁকে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও কোচ রেখে দেওয়া হচ্ছে। যা শোনা যাচ্ছে, তাতে শ্রীলঙ্কার কোচ হিসাবে জয়সূর্যর মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।
শ্রীলঙ্কার বোর্ডের একজন ‘সংবাদ প্রতিদিন’-কে বলছিলেন, “প্রথম টেস্টে আমরা যদি আরও ষাট-সত্তর রান বেশি করতে পারতাম, তাহলে হয়তো ম্যাচটা জিততাম। তাহলে সিরিজও জিতে ফিরত টিম। তবে দল পুরো সিরিজে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। সেটাই সবচেয়ে তৃপ্তির। জয়সূর্যকে কৃতিত্ব দিতে হবে। পুরো টিমটাকে এক সুতোয় বেঁধে ফেলেছেন উনি। ক্রিকেটারদের সঙ্গে দারুণভাবে মিশে গিয়েছেন। কোচের জন্যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল ঠিকই। তবে আপাতত কাউকে নিয়োগ করা হচ্ছে না। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে সনৎকে রাখা হচ্ছে। তারপর এটা নিয়ে আলোচনা হবে।”