সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন করে উত্তপ্ত হওয়ায় সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আরও কয়েকটি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি শুক্রবার পর্যন্ত। তার মধ্যেই এদিন সকালে বিজেপি (BJP) মহিলা মোর্চার ৭ সদস্য সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর ভোজেরহাটেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। জানানো হয়, ১৪৪ ধারা জারি, যাওয়া যাবে না। তাতে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) তথ্য হাতে নিয়ে জানান, যে এলাকায় তাঁদের আটকানো হল, সেখানে ১৪৪ ধারা নেই। তাহলে কেন ভোজেরহাটেই আটকানো হচ্ছে? এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান লকেট চট্টোপাধ্যায়, ফাল্গুনী পাত্র, অগ্নিমিত্রা পলরা।
বাদানুবাদ গড়াতে থাকলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Exam) থাকার কারণ দেখিয়ে পুলিশ বিজেপি মহিলা প্রতিনিধিদের রাস্তা আটকান। তাঁদের বলা হয়, সন্দেশখালিতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা শেষ করতে বদ্ধপরিকর পুলিশ। বিজেপি মহিলা প্রতিনিধিরা সেখানে ঢুকলে সমস্যা হতে পারে। তাই আপাতত যেতে দেওয়া যাবে না। পুলিশের এই বক্তব্যেরও তীব্র বিরোধিতা করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালরা। একই সময়ে সন্দেশখালিতে গিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাহলে শুধু তাঁদেরই বাধা কেন? প্রশ্ন তোলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ।
[আরও পড়ুন: লোকসভার আগে তপ্ত সন্দেশখালি, তড়িঘড়ি বিশেষ বৈঠক কমিশনের]
এর পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভোজেরহাটেই লকেট চট্টোপাধ্যায়, ফাল্গুনী পাত্রদের আটক করা হয় বলে খবর। তাঁদের পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় কেএলসি (KLC) থানায়। এই খবর পেয়েই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিজেপি নেতৃত্ব। কেন সন্দেশখালির থেকে এতটা দূরে তাঁদের আটকানো হল, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।
[আরও পড়ুন: ‘ঘড়ি’ নিয়ে গেল ভাইপো, লোকসভার আগে নয়া প্রতীক পেলেন শরদ পওয়ার]
এদিকে, সন্দেশখালির বেড়মজুর এলাকা সকাল থেকেই উত্তপ্ত। কাছারিপাড়া এলাকার বাসিন্দারা লাঠি, ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। বেড়মজুর ১-এর এই এলাকায় আলাঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজ শেখ ও তাঁর লোকজন নিজেরাই আলাঘরে আগুন দিয়ে দোষ চাপাচ্ছে সাধারণ বাসিন্দাদের উপর। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে। তাঁরা আরও বলেন, ”আমাদের কয়েকশো বিঘা সম্পত্তি দখল করে খাচ্ছে ওরা, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সম্পত্তি ফেরত দিচ্ছে না। পাশাপাশি লিজের টাকাও দিচ্ছে না। সরকারি কোনও সাহায্য আমরা পাই না। যার কারণে আমরা আজ রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।”
দেখুন ভিডিও: