ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা, বিজেপি নেত্রী পিয়ালী দাস ও বিজেপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল। রবিবার পুলিশকে রেখা শর্মার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।
সন্দেশখালি কাণ্ডে একের পর এক ভিডিও সামনে আসছে। যা নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি (BJP) পরিকল্পনামাফিক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পাশাপাশি, জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখার শর্মার বিরুদ্ধে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের অভিযোগ, তিনি জোর করে সন্দেশখালির মহিলাদের দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করিয়েছেন। শুক্রবার তৃণমূলের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছিলেন, "রেখা শর্মা রাজনৈতিকভাবে সিগন্যাল পেয়ে এখানে এসে পালে হাওয়া দিয়েছেন। মহিলা কমিশনের এই পক্ষপাতিত্ব খুবই দুর্ভাগ্যজনক।"
গত ৪ মে প্রথমবার সন্দেশখালি কাণ্ডের ভিডিও সামনে আসে। সেখানে বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছিল, সন্দেশখালিতে রেখা পাত্রদের ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো। মহিলাদের ভুল বোঝানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, এজন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের টাকা ও মোবাইল দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। ওই ভিডিওর পর আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে এক নির্যাতিতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তাঁকে সাদা কাগজে সই করিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করানো হয়। সেই মহিলা আরও জানান, পরে অভিযোগ তুলতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: নীল-সাদার ফ্যাশন শো! চতুর্থ দফার আগে কেন নয়া পোশাক ভোটকর্মীদের?]
শনিবার ফের গঙ্গাধরের আরও একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যাতে ওই বিজেপি নেতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের ঘটনা সাজাতে ৭২ জন মহিলাকে ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও ভাইরাল হওয়া কোনও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। আজ, রবিবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে রেখা শর্মার বিরুদ্ধে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা, মিথ্যে ভয় দেখানো-সহ একাধিক অভিযোগ এনেছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির মহিলাদের আন্দোলনের সময় চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা ও মহিলা কমিশনের সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকেও নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, তৃণমূল মহিলাদের অভিযোগ তুলতে চাপ দিচ্ছে। সেই দিকটা যেন খতিয়ে দেখা হয়।