সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মুখে সারদা কাণ্ডে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির সমন পেয়ে মঙ্গলবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
[আরও পড়ুন: ফের শিরোনামে হাথরাস! শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত যুবকের গুলিতে মৃত্যু নির্যাতিতার বাবার]
এদিন, সকাল ১০.৩০টা নাগাদ ইডি’র দপ্তরে পৌঁছন সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সূত্রের খবর, সারদা-কাণ্ডে বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে এসেছে ইডির। কয়েকদিন আগে সারদায় অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে সিবিআই। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বেশ কিছু ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য। আর সেই তথ্যের ভিত্তিতেই কুণাল ঘোষকে জেরা করতে চায় ইডি। পশ্চিমবঙ্গে ভোটের মুখে দলীয় মুখপাত্রকে এভাবে নোটিস পাঠানোর নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও বিজেপির পালটা দাবি, দল কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে প্রভাবিত করে না। তদন্তে যেমন উঠে আসছে সেভাবেই ইডি কিংবা সিআইডি চলছে বলে দাবি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের। বলে রাখা ভাল, সারদা-কাণ্ডে কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এখন তিনি জামিনে রয়েছেন। সারদা তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডি-ও তদন্ত করছে।
এদিকে, কুণাল ঘোষের দাবি, সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠি নিয়ে তদন্ত করুক ইডি। ওই চিঠিতে নাম উল্লেখ করে সাফ বলা হয়েছে কোন কোন নেতারা টাকা নিয়েছেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “আইন নিজের পথেই হাঁটবে।” গতকালও সমন পেয়ে তিনি বলেছিলেন, “২০১৩ সাল থেকে সারদা মামলায় তদন্ত চলছে। আগেও ইডি-কে সাহায্য করেছি। আবারও সাহায্য করব। আগেও অনেক নথি জমা দিয়েছি। আরও এক বার নথিপত্র নিয়ে যাব ইডি দপ্তরে।”