নব্যেন্দু হাজরা: স্লেট পেনসিলে হাতেখড়ি থেকে মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে পুজোর অঞ্জলি দান। রাতে ভোগ বিতরণ, আবার পরদিন দধিকর্মার আয়োজন। অতিমারী আতঙ্ক কাটিয়ে বাগদেবীর আরাধনার তোড়জোড় সুদূর লন্ডনেও। হাতে যে আর খুব বেশিদিন বাকি নেই। লন্ডনে প্রথমবার সরস্বতী আরাধনার আয়োজন করেছে হেরিটেজ বেঙ্গল গ্লোবাল।
করোনার (Corona Pandemic) কামড় কিছুটা কমেছে। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছে মানুষজন। তার মধ্যেই লন্ডনের হ্যারও অঞ্চলে এখন সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) তোড়জোড় শুরু। কচিকাঁচারাই তৈরি করছে মণ্ডপ। ইতিমধ্যেই কুমোরটুলির শিল্পী কৌশিক ঘোষের তৈরি আড়াই ফুটের ফাইবারের প্রতিমা পৌঁছে গিয়েছে ব্রিটিশদের দেশে। গঙ্গামাটি থেকে গঙ্গাজল, দশকর্মার জিনিস সবই যাচ্ছে কলকাতা থেকে। বিদ্যার দেবীর আরাধনায় মাতার প্রস্তুতি তাই তুঙ্গে সেখানে।
[আরও পড়ুন: নেতাজি নগরের বাড়িতে আগুন, বেরতে না পেরে ঘরের মধ্যেই ঝলসে মৃত্যু বৃদ্ধার]
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের হ্যারও অঞ্চলে জরাস্ট্রিয়ান সেন্টারে এই পুজো হবে। বাচ্চাদের হাতেই তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, পুজোর মণ্ডপে থাকবে ছোটদের তৈরি হাতের কাজ, ছোটদের আঁকা ছবি, তাদের পছন্দের সাজসজ্জা। এছাড়া বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সদ্যপ্রয়াত পদ্মশ্রী প্রাপক চিত্রকাহিনিশিল্পী নারায়ণ দেবনাথের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে মণ্ডপে। বসন্ত পঞ্চমীর সন্ধেবেলায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। তারই এখন রিহার্সাল চলছে।
উদ্যোক্তাদের কথায়, পশ্চিম লন্ডনে এটিই একমাত্র পুজো হবে এবার। কোভিডবিধি যেহেতু শিথিল ওখানে তাই মনে করা হচ্ছে পুজোর দিন ভালই দর্শনার্থীদের ভিড় মণ্ডপে। কয়েকশো বাঙালি পরিবারের বাস ওই এলাকায়। সবাই বিদ্যার দেবীর আরাধনায় মেতে ওঠার জন্য প্রস্তুত এখন থেকেই। লন্ডনে থেকেও বাঙালিয়ানাকে উপভোগ করতে তাই এই দিনটায় হলুদ পাঞ্জাবি আর হলুদ শাড়িতে সাজতে চান তাঁরাও। পুজো উদ্যোক্তা তমালিকা বসু বলেন, “এবারই আমরা প্রথম বাগদেবীর আরাধনা করছি। কুমোরটুলি থেকে ঠাকুর এসেছে। এখানকার ছোট ছোট বাচ্চারা সবাই এই পুজোয় অংশগ্রহণ করছে।”