সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড করা হল পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন পাক অধিনায়ক। বর্ণবিদ্বেষবিরোধী নিয়মাবলী লঙ্ঘন করায় তাঁকে ৪ ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা । সাসপেন্ড হওয়ায় চলতি ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেই আসন্ন টি-২০ সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ খেলতে পারবেন না সরফরাজ।
[শচীনের দীর্ঘদিনের রেকর্ড ভাঙল নেপালের এই তরুণ ব্যাটসম্যান]
আইসিসির তরফে জানানো হয়েছে, আইসিসির বর্ণবিদ্বেষবিরোধী আইনের ৭.৩ নং ধারা অনুযায়ী, সরফরাজকে একটি শিক্ষামূলক পাঠক্রমে অংশ নিতে হবে। যাতে বর্ণবিদ্বেষ সম্পর্কে তাঁর সচেতনতা বাড়ে। আইসিসি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবে কবে বা কোথায় ওই পাঠক্রমের আয়োজন করা হবে।
[বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করে বিপাকে পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ]
কিন্তু, ঠিক কী করেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক, যার জেরে এত বড় শাস্তি পেতে হল তাঁকে? আসলে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডে চলাকালীন আন্ডিল ফেলুকাওকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করে বসেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ৮০ রানে ৫ উইকেট হারায়। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া টপ অর্ডারের বিপর্যয়ের রেশ কাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচে ফেরান ফেলুকাও। ৩৭তম ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে ফেলুকাও সিঙ্গল নেওয়ার সময় তাঁকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করে বসেন পাক অধিনায়ক। স্টাম্প মাইক্রোফোনে যা পুঙ্খানুপুঙ্খ ধরা পড়ে। ফেলুকাওর উদ্দেশে সরফরাজ বলেন, “শোন ফেলুকাও তোর গায়ের রং কালো। তোর মা গ্যালারির কোথায় বসেছে? তোকে কী এমন পরিয়ে পাঠিয়েছে যে এ রকম খেলছিস?” সরফরাজের এ হেন মন্তব্যের পর স্বভাবতই ক্রিকেটবিশ্বে ঝড় ওঠে। সরফরাজকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রাক্তন পাকিস্তান মহাতারকা শোয়েব আখতার জানিয়ে দেন ফেলুকাওর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত পাক অধিনায়কের। তারপরই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে আইসিসি। তদন্ত শেষে কঠিন শাস্তির কথা জানিয়ে দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা।
The post বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের জের, সরফরাজকে কঠিন শাস্তি দিল ICC appeared first on Sangbad Pratidin.