সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিস্ফোরক মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক (Satya Pal Malik)। আগেও কৃষক বিক্ষোভ (Farmers Protest) নিয়ে উলটো সুরে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই সঙ্গে বিজেপিকে তোপও দেগেছিলেন তিনি। আবারও কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলতে থাকা বিক্ষোভকে সরাসরি সমর্থন জানালেন তিনি। সেই সঙ্গে দাবি করলেন, কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন আম্বানি ও এক আরএসএস নেতার দুর্নীতির ফাইল পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য ৩০০ কোটি টাকা ঘুষ দিতে চাওয়া হয়েছিল তাঁকে!
ঠিক কী জানিয়েছেন সত্যপাল?তাঁর কথায়, ”আমি কাশ্মীরে যাওয়ার পরে দু’টি ফাইল আমার সামনে আসে। একটিতে আম্বানি ও অন্যটিতে সঙ্ঘের এক বড় অফিসার যুক্ত ছিল। একজন মেহবুবার মন্ত্রিসভার সদস্য। অন্যজন প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আমি জানতে পেরেছিলাম ওই দুই ফাইলেই বড়সড় দুর্নীতি রয়েছে। আমাকে বলা হয়েছিল প্রতিটি ফাইলের ক্লিয়ারেন্সের জন্য আমায় দেড়শো কোটি টাকা করে দেওয়া হবে। আমি দুটোই বাতিল করে দিয়েছিলাম। আমার সেক্রেটারি আমাকে ওই অফারের কথা জানিয়েছিল। আমি ওকে বলেছিলাম, আমি পাঁচটা কুর্তা-পাজামা নিয়ে এসেছিলাম। কেবল ওইটুকু নিয়েই চলে যেতে পারি।”
[আরও পড়ুন: ‘মাস্ক পরা অভ্যাসে পরিণত করুন, উৎসবে সতর্ক থাকুন’, একনজরে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের ৭ পয়েন্ট]
রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে এক জনসভায় এমনই বিস্ফোরক দাবি জানিয়েছেন সত্যাপাল। সেই বক্তৃতার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নিজের সাদামাটা জীবনযাপনের কথা জানিয়ে সত্যপালের সটান বক্তব্য, তিনি গরিব। সেটাই তাঁর শক্তি। আর সেই কারণেই তিনি দেশের যে কোনও শক্তিশালী ব্যক্তির সঙ্গেই লড়াই করতে পারবেন। সেই সঙ্গে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসাও। সত্যপালের দাবি, মোদি তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে জানিয়েছিলেন, দুর্নীতিকে মেনে নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
ফাইল দু’টি ঠিক কী, তা সত্যপাল উল্লেখ না করলেও মনে করা হচ্ছে, তিনি সম্ভবত সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের স্বাস্থ্যবিমা সংক্রান্ত ফাইলটির উল্লেখ করছেন যেটি অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গ্রুপের সাধারণ বিমারই একটি অংশ ছিল। ২০১৮ সালের অক্টোবরে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন রিলায়েন্সের সাধারণ বিমা সংক্রান্ত একটি চুক্তি বাতিল করে দিয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে, এবারও সেই ফাইলটির প্রসঙ্গই তুলেছেন তিনি।
সেই সঙ্গে কৃষক বিক্ষোভ নিয়েও তিনি মুখ খুলেছেন। দাবি করেছেন, যদি কৃষক বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে, তাহলে তিনি নিজের পদ থেকে সরে গিয়ে কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। বর্ষীয়ান সত্যপালের দাবি, ”আমি কোনও অন্যায় করিনি। আর তাই আমি এটা করতে পারি, কারও তোয়াক্কা না করে।”