সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৮-এর সাব-প্রাইম মর্টগেজ ক্রাইসিস এখনও ভুলতে পারেনি আমেরিকা। এবার প্রায় দেড় দশকের মাথায় পরপর দু’টি ব্যাংক ফেল করায় অশনি সংকেত দেখছেন মার্কিন জনতা। তবে প্রশাসনের অশ্বাস, ব্যাংকে জমা আমানত সুরক্ষিত। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।
গত শুক্রবার বন্ধ হয়ে যায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (Silicon Valley Bank)। মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্যাংকটিতে লগ্নীকৃত অর্থের নিয়ন্ত্রণও নিয়ে নিয়েছে নিজেদের হাতে। ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী মন্দার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, সেই আশঙ্কাকেই যেন মান্যতা দিচ্ছে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের এই বিপর্যয়। রবিবার বন্ধ হয়ে গেল নিউ ইয়র্কের সিগনেচার ব্যাংক। পরপর এহেন বিপর্যয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত গ্রাহকরা। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
[আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়া-আমেরিকার সামরিক মহড়ার আগে হুঁশিয়ারি, জোড়া মিসাইল ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া]
এহেন পরিস্থিতে প্রশাসনের অশ্বাস, ব্যাংকে জমা আমানত সুরক্ষিত। গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। মার্কিন ট্রেজারি, ফেডারেল রিজার্ভ এবং ফেডারেল রিজার্ভ ইনস্যুরেন্স কর্পরেশন এক যৌথবিবৃতি জারি করে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমেরিকার ব্যাংকিং সিস্টেম খুবই মজবুত। ব্যাংক ডিপোজিট সুরক্ষিত রাখতে আমরা সমস্ত পদক্ষেপ করছি।” আজ সোমবার ব্যাংক ফেল নিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেবেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে একের পর এক কর্পোরেট ও ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক বন্ধ হয়ে যেতে শুরু করে আমেরিকায় (America)। মন্দার গ্রাসে চলে যায় বিশ্ব। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পরিস্থিতিতে ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে আমেরিকায় আর্থিক মন্দা শুরু হলেও ভারতের অর্থনীতি কিন্তু এখনও অনেকটাই ছন্দে রয়েছে। আর সেই কারণেই মার্কিন মুলুক ও প্রথম বিশ্বের বহু দেশ ছেড়ে নয়াদিল্লিতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে বহু বড় সংস্থা। তবে অনেকেরই ধারণা, মার্কিন ব্যাংক বিপর্যয়ে ভারতের অর্থনীতি কিছুটা হলেও প্রভাবিত হবে।