আকাশ মিশ্র: বাংলাদেশের ছবি ‘ছায়াবাজ’-এর শুটিং করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সায়ন্তিকা। রটেছিল শুটিং শেষ করেই নাকি সায়ন্তিকা বাংলাদেশ থেকে সোজা চলে এসেছিলেন কলকাতায়। তবে সত্য়িই কী ঘটেছিল, তা স্পষ্টই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে ছিলেন অভিনেত্রী। তবে এবার হঠাৎ করেই রটে গেল বাংলাদেশের এই ছবি থেকে নাকি বাদ গিয়েছেন সায়ন্তিকা! রটেছে, সায়ন্তিকার অপেশাদার আদব-কায়দার জন্যই নাকি ছবির প্রযোজক, পরিচালক সায়ন্তিকাকে বাদ দিয়েছেন ‘ছায়াবাজ’ ছবি থেকে!
আসল খবর জানার জন্য সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের তরফ থেকে ছবির নায়ক জায়েদ খানকে যোগাযোগ করা হলে, জায়েদ স্পষ্ট জানালেন, ”একেবারেই ভ্রান্ত খবর। এখানকার মিডিয়ার একাংশ এটা অকারণে রটাচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: ‘মহিলাদের মৃতদেহকে ধর্ষণ করছে হামাস জঙ্গিরা’, ইজরায়েলের জন্য কাঁদছেন কঙ্গনা! উলটো সুর স্বরার]
যোগাযোগ করা হয়েছিল ছবির পরিচালক তাজু কমরুলের সঙ্গেও। পরিচালকের কথায়, ”একেবারে ভুল খবর। সায়ন্তিকাকে একেবারেই বাদ দেওয়া হচ্ছে না। আসলে সায়ন্তিকা এখন দুর্গাপুজো ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই নতুন শুটিং শিডিউল তৈরি হয়নি। সায়ন্তিকার কাজ মিটলেই নতুন করে আবার শুটিং শুরু হবে। তবে ছায়াবাজ থেকে সায়ন্তিকা বাদ, এ খবর কিন্তু একেবারেই ভুয়ো।”
ঠিক কী ঘটেছিল সায়ন্তিকার সঙ্গে?
সংবাদমাধ্যমে এই বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সায়ন্তিকা জানিয়ে ছিলেন, ”প্রথমে অন্য মাস্টারজি এসেছিলেন নাচের দৃশ্য শুটিংয়ের জন্য। কিন্তু সেখানেও টাকাপয়সা নিয়ে সমস্যার জন্য তিনি চলে যান। তার পর মাইকেল নামক ছেলেটি আসে। আমার থেকে অনুমতি না নিয়েই হাত ধরে সরিয়ে দেয়। এই ধরনের আচরণ আমার পছন্দ নয়। আমি একেবারে পেশাদার শিল্পী। এরকম আচরণ সঠিক নয়।”
সায়ন্তিকা আরও বলেছিলেন, ”আমি প্রযোজক মনিরুলের সঙ্গে কিছু টেক্নিক্যাল সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোনও উত্তরই পাওয়া যায়নি। ওঁর কোনও পরিকল্পনা নেই। কোনও ব্যবস্থা নেই। একেবারে সিস্টেমেটিক নয়।”