সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও মহিলার পিছু নিয়ে তাঁকে ‘আজা, আজা’ বলে ডাকাও যৌন হেনস্তার মধ্যেই পড়ে। এমনই রায় দিয়েছে মুম্বইয়ের (Mumbai) একটি আদালত। ২০১৫ সালের একটি মামলার সূত্রেই আদালত তার পর্যবেক্ষণে এ কথা জানিয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ৩২ বছরের এক ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী।
ঘটনার সময় ওই ছাত্রীর বয়স ছিল ১৭ বছর। পকসো আইনে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তার আইনজীবী দাবি করেন, এটাকে যৌন হেনস্তা বলা যাবে না। এরপরই মুম্বইয়ের আদালত জানায়, ‘আজা, আজা’ বলে বারবার ডাকাটাকেও যৌন হেনস্তা হিসাবে ধরা হবে।
[আরও পড়ুন: ব্যর্থতার মধ্যেই ধাক্কা অস্ট্রেলিয়ার, সিরিজের মাঝপথে দেশে ফিরছেন অধিনায়ক কামিন্স]
ফরাসি ভাষা শেখার জন্য একটি কোচিং সেন্টারে যেত ওই ছাত্রী। সন্ধ্যায় ফেরার সময় ওই যুবক সাইকেল চালিয়ে তার পিছু নিত। আর ‘আজা, আজা’ বলে ক্রমাগত উত্ত্যক্ত করত। একাধিকবার এই ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। পুলিশের কাছে অভিযোগে জানান, ঘটনার সময়ে সে পথচলতি মানুষের সাহায্য চেয়েছিল। তখন সেখান থেকে পালায় ওই যুবক। ঘটনার কথা সে টিউশন এবং বাড়িতে জানায়।
খোঁজ করে দেখা যায়, ওই যুবক কাছেই একটি বাড়িতে নৈশপ্রহরীর কাজ করে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মুম্বইয়ের দিনদোশির দায়রা আদালত জানায়, কোনও মহিলাকে কাছে আসার জন্য ডাকাও যৌন হেনস্তার শামিল। কারণ, ওই ডাকের মধ্যে যৌন বাসনা ধরা পড়ে। দোষী সাব্যস্ত হওয়া ওই যুবক আদালতকে জানায়, তার জেল হলে স্ত্রী আর তিন বছরের বাচ্চা খেতে না পেয়ে মরে যাবে। আদালতে জামিনের আর্জি জানায়। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক জামিন মঞ্জুর করেছেন।