সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেম আর ঘৃণার মধ্যে তফাত যে হঠাৎই মুছে যেতে পারে, একথা নতুন নয়। আবারও তার প্রমাণ মিলল অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) অনন্তপুর জেলায়। প্রাক্তন প্রেমিকা নতুন সম্পর্কে জড়াচ্ছে, এই সন্দেহে তাঁকে গলা টিপে খুন (Murder) করে দেহটি পুড়িয়ে দিল প্রেমিক। অবশেষে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্তকে।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিহত তরুণীর নাম স্নেহলতা। উনিশ বছরের ওই তরুণী কাজ করতেন স্টেট ব্যাংকে (SBI)। অভিযুক্ত গুটি রাজেশ পেশায় রাজমিস্ত্রি। চাকরি পাওয়ার পর থেকে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যায় স্নেহলতার। নিজেরই কলেজের সহপাঠী প্রবীণের সঙ্গে সখ্য বাড়তে থাকে তাঁর। ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেনি রাজেশ। মনে মনে সে ছক কষে স্নেহলতাকে খুন করার।
[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর নির্বাচনের ফল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুখে জোরাল থাপ্পড়’, কটাক্ষ রবিশঙ্কর প্রসাদের]
এরপরই গত মঙ্গলবার সে ওই ভয়ানক কাণ্ড ঘটায়। ঠিক কী হয়েছিল? জানা যাচ্ছে, স্নেহলতার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বাইকে করে অনেকটা দূরে নিয়ে যায় রাজেশ। এরপরই তাঁর সঙ্গে বচসা শুরু হয় স্নেহলতার। একটি মাঠের ধারে দাঁড় করানো হয় বাইক। প্রবীণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে চেঁচামেচি শুরু করে রাজেশ। ক্রমে তর্ক আরও বাড়লে রাগের মাথায় প্রাক্তন প্রেমিকাকে গলা টিপে মেরে ফেলে রাজেশ। দেহ যাতে কেউ চিনতে না পারে, তাই মৃতা তরুণীর দেহে আগুন লাগিয়ে দেয় সে। সেই সঙ্গে স্নেহলতার কাছে থাকা ব্যাংকের কাগজপত্রও সে ফেলে দেয় আগুনের মধ্যে। কিন্তু দেহটি সম্পূর্ণ পোড়েনি। সিনিয়র পুলিশ অফিসার ভুসারাপু সথ্য যেশু বাবু জানিয়েছেন, ধর্ষণ কিংবা কোনও ধরনের যৌন নির্যাতনের চিহ্ন মেলেনি মৃতার শরীরে।
স্নেহলতা বাড়ি না ফেরায় তাঁর অভিভাবকরা পুলিশে অভিযোগ জানান। পরে ব্যাংক থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে এক মাঠের মধ্যে থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের জেরায় নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে রাজেশ। তার কাছে থাকা স্নেহলতার মোবাইলটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ফোনের কল রেকর্ড থেকে জানা যাচ্ছে, গত ১ বছরে ১৬১৮ বার কথা হয়েছিল রাজেশ ও স্নেহলতার।