সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক, বাতিল হওয়া উচিত। গত ১৫ ফেব্রুয়ারির রায়ে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এইসঙ্গে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক (SBI) আগামী ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য দেবে নির্বাচন কমিশনকে। সোমবার ওই তথ্য জমা দেওয়ার জন্য আগামী ৩০ জুন অবধি সময় চাইল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটি। ইতিমধ্যে বাড়তি সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে এসবিআই।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে জানিয়েছিল, মোদি জমানায় চালু হওয়া ইলেক্টোরাল বন্ড অসাংবিধানিক। দ্রুত বন্ধ হওয়া উচিত। সাংবিধানিক বেঞ্চের জানায়, ইলেক্টোরাল বন্ড ভোটারদের মৌলিক অধিকার খর্ব করে। বেঞ্চের বক্তব্য, রাজনৈতিক দলগুলি ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার অধিকার রয়েছে সাধারণ ভোটারদের। ইলেক্টোরাল বন্ড সেই অধিকার খর্ব করছে।
[আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় দিল্লি হাই কোর্টে বড় ধাক্কা মহুয়ার, খারিজ আবেদন]
শীর্ষ আদালতের আশঙ্কা, বন্ডের মাধ্যমে এভাবে অনুদান দেওয়ার মধ্যে পালটা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। বস্তুত, কর্পোরেটরা অনুদানের বিনিময়ে পালটা অনৈতিক সুবিধা প্রত্যাশা করে বলেই মনে করছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের সাফ বক্তব্য, শুধু কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই এবং ঋণদাতাদের গোপনীয়তা বজায় রাখার অজুহাতে এই পদ্ধতি চলতে দেওয়া যায় না।
[আরও পড়ুন: সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, সুপ্রিম তোপের মুখে স্ট্যালিনপুত্র উদয়ানিধি]
১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল। তার মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে জমা পড়া অনুদান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তুলে দেবে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলা হয়েছে, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে কমিশনকে অনুদান সংক্রান্ত তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে নেওয়া টাকা অনুদানদাতাকে ফেরত দেবে রাজনৈতিক দলগুলি। এবং নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য আগামী ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে দেবে এসবিআই। যদিও ৩০ জুন অবধি সময় চাইল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।