সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আর লকডাউনের (Lockdown) জেরে মন্দা দেখা দিয়েছে দেশীয় অর্থনীতিতে। সেই কোপে চাকরি খুইয়েছেন বহু মানুষ। সুরক্ষিত নয় সরকারি চাকরিও। রেল, বিএসএনএলের পর এবার কর্মীদের জন্য স্বেচ্ছাবসরের ভাবনাচিন্তা করছে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়াও (SBI)। ইতিমধ্যে এ নিয়ে খসড়া প্রস্তাবও তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে পিটিআই সূত্রে খবর।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, খরচ বাঁচানোর জন্য এমনই পরিকল্পনা করছে দেশের বৃহত্তম ব্যাংক। পরিসংখ্যান বলেছে, গত অর্থবর্ষ পর্যন্ত এসবিআইয়ের মোট কর্মী সংখ্যা ছিল ২.৪৯ লক্ষ। ৩০ হাজার ১৯০ জন কর্মী স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণের সুযোগ পাবেন। ফলে ব্যাংকের ২,১৭০.৮৫ কোটি টাকার মতো খরচ বাঁচবে। সংবাদ সংস্থা আরও জানিয়েছে, যে কর্মীরা নিজেদের কর্মদক্ষতার শীর্ষে নেই, তাঁদের সম্মানের সঙ্গে চাকরি ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ‘সেকেন্ড ইনিংস ট্যাপ ভিআরএস-২০২০’ নামে খসড়া প্রস্তাব আনা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যাংকের বাইরে কোনও ব্যক্তিগত-পেশাদারি জীবন কাটাতেও চাইলে সেই সুযোগ মিলবে।
[আরও পড়ুন : ‘কাদামাটি-গোবরে জন্মেছি, করোনা আমার টিকিও ছুঁতে পারবে না’, আজব দাবি বিজেপি নেত্রীর]
ভিআরএস খসড়া অনুযায়ী, স্বেচ্ছাবসরের জন্য দুটি শর্ত রাখা হয়েছে। এক, কাট-অফ দিনের নিরিখে স্থায়ী অফিসার এবং কর্মীরা ২৫ বছরের চাকরি জীবন পূরণ করতে হবে। অথবা তাঁদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি হতে হবে। ১ ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির শেষপর্যন্ত স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন জমা নেওয়া হবে। আরও জানা গিয়েছে, যে কর্মীদের আবেদন মঞ্জুর হবে, তাঁদের চাকরি জীবনের অবশিষ্ট সময়ের ৫০ শতাংশ বেতন দেওয়া হবে। তবে সর্বাধিক ১৮ মাসের বেতন মিলবে। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের দেড় বছর আগে কেউ স্বেচ্ছাবসর নিলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক বা কর্মী পুরো ৫০ শতাংশ বেতন পাবেন। তবে কেউ যদি ৫৬ বা ৫৭ বছরে অবসর নেন, তাহলেও তিনি সর্বাধিক দেড় বছরের বেতন পাবেন। গ্র্যাচুইটি, পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF), স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়-সহ যাবতীয় সুবিধা পাবেন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। নয়া প্রকল্পে আরও বলা হয়েছে, যাঁরা স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করবেন, তাঁরা দু’বছরের কুলিং-অফ পিরিয়ডের আবারও ব্যাংকে (Bank) যোগ দিতে পারবেন।
[আরও পড়ুন : ট্রেনে ধূমপান আর শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়! আইন বদল করতে চলেছে রেল]
The post কোপ ব্যাংকের চাকরিতেও! খরচ কমাতে ৩০ হাজার কর্মীকে স্বেচ্ছাবসরে পাঠাচ্ছে SBI appeared first on Sangbad Pratidin.