সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে পরিবহণমন্ত্রীর আশ্বাসেই কাটল জট। ধর্মঘট তুলে বাস নিয়ে পথে নামলেন এসবিএসটিসির (SBSTC) অস্থায়ী কর্মীরা। মূলত মন্ত্রীর কথা রাখতে ও আমজনতার ভোগান্তির কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্ত। বাসের চাকা গড়াতেই স্বস্তিতে যাত্রীরা।
গত শুক্রবার থেকে ধর্মঘটে শামিল হন এসবিএসটিসির অস্থায়ী কর্মীরা। ২০১৩ সাল থেকে যাঁরা বাস চালাচ্ছেন, তাঁদের স্থায়ীকরণ, মাসে ২৬ দিন কাজ, ছুটি-সহ অন্যান্য একাধিক সুবিধার দাবি জানান তাঁরা। হলদিয়া, দিঘা, মেদিনীপুর, সিউড়ি, রামপুরহাট, বর্ধমান, দুর্গাপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় অনির্দিষ্টকালের জন্য শুরু হয় বাস ধর্মঘট। এই ধর্মঘটের জেরে আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। পুজোর মুখে প্রবল সমস্যায় পড়তে হয় আমজনতাকে।
[আরও পড়ুন: রয়েছে অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট, সিবিআই তদন্তের মাঝেই বেসরকারি ব্যাংকে বিধ্বংসী আগুন]
এই পরিস্থিতিতে গত সোমবার সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী। বলেন, “আমি আশ্বাস দিচ্ছি মাসে ২৬ দিন কাজ থাকবে। বাকি যা দাবি রয়েছে, আমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমি করব।” অবিলম্বে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আরজি জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার আশ্বাস সত্ত্বেও মঙ্গলবারও ধর্মঘটে শামিল ছিলেন এসবিএসটিসির অস্থায়ী কর্মীরা। তাঁদের দুটি দাবি পুজোর আগেই পূরণের দাবি জানিয়েছিলেন-২৬ দিনের কাজ ও বকেয়া মেটানো। মন্ত্রী জানিয়েছেন, পুজো মিটলেই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরপরই বুধবার ধর্মঘট তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
বুধবার সকাল থেকে বাস পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তিতে। বাস বন্ধ থাকায় গত কয়েকদিনে চূড়ান্ত নাজেহাল হতে হয়েছে আমজনতাকে। কেউ ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছেছেন। যার জন্য খরচ হয়েছে দ্বিগুণ। ফলে পুজোয় ধর্মঘট জারি থাকলে ভোগান্তি কয়েকগুণ বাড়ার আশঙ্কা ছিল। তবে ধর্মঘট ওঠায় স্বস্তিতে সকলেই।