অরিঞ্জয় বোস, বারাণসী: বৃহস্পতিবারই এলাহাবাদ হাই কোর্ট রায় দিয়েছে, সুবিচারের স্বার্থেই জ্ঞানবাপীতে (Gyanvapi mosque) বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালানো দরকার। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শুক্রবার শীর্ষ আদালতও জ্ঞানবাপীর বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার সপক্ষেই রায় দিল। উল্লেখ্য, আজ ভোরবেলাই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে এএসআই সমীক্ষা শুরু করেছে জ্ঞানবাপীতে।
জ্ঞানবাপীতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালালে মসজিদ ভেঙে পড়তে পারে এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে সেই দাবি খারিজ হয়ে গিয়েছে এলাহাবাদ হাই কোর্টেই। এবার সুপ্রিম কোর্টও অনুমতি দিল বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এএসআইয়ের দাবি, তারা ওই স্থানের কোনও ক্ষতি না করেই সমীক্ষা চালাবে।
[আরও পড়ুন: বিস্ফোরক মজুতের অভিযোগ, বীরভূমে NIA’র জালে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি]
এদিকে, এদিনের সুপ্রিম-রায়ের পর খুশির হাওয়া বেনারস জুড়ে। শুক্রবার ভোরবেলা থেকেই জ্ঞানবাপী এলাকায় বিশাল পরিমাণ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রয়েছে। সূত্র বলছে, প্রাথমিক ভাবে সমীক্ষকরা মূলত স্থানটি পরিদর্শন করে ছবি তুলেছেন। এখনও জ্ঞানবাপীর কোনও অংশ ভাঙা পড়েনি। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে ৬ জন আইপিএস। প্রায় পাঁচশো পুলিশ। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে মুসলিম পক্ষের আইনজীবী হুফেজা আহমাদি দাবি করেন, এএসআই ‘ইতিহাস খুঁড়তে শুরু করেছে’। এর ফলে ওই স্থানের উপাসনা আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে। মসজিদ কমিটির আরও দাবি, এই সমীক্ষার ফলে পুরনো ক্ষত আবার নতুন করে জেগে উঠতে পারে।