সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের সমস্যা মেটাতে ফের পদক্ষেপ করল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, রাজ্য সরকারের দেওয়া তালিকা থেকেই ছজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। সেইমতো রাজ্যের দেওয়া তালিকা থেকেই ৬ জনকে উপাচার্য পদে বসাবেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যপালের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমন এমনটাই জানিয়েছেন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
তবে রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, এদিন সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চিত করেছে যে রাজ্য নয়, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা আচার্য তথা রাজ্যপালের হাতেই। ফলে নিয়োগের জটিলতা এখনই কাটছে না, মত ওয়াকিবহাল মহলের।
বাংলার ৩১ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সমস্যা চলছে। রাজ্য় বনাম রাজ্য়পালের দড়ি টানাটানির জল গড়িয়েছে শীর্ষ আদালতেও। অ্যাটর্নি জেনারেল রাজ্যপালের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতকে জানান, রাজ্য সরকারের পাঠানো তালিকা থেকে ছ'টি নাম অনুমোদন করেছেন রাজ্যপাল। ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত নিয়োগ পর একই ফর্মুলায় বাকি ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। একান্ত যদি তা না হয় তবে সার্চ কমিটি গঠন করে দেবে করে দেবে শীর্ষ আদালতই। এর আগেই সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপাল, রাজ্য সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) একটি অনুসন্ধান-কাম-সিলেক্ট কমিটি তৈরির জন্য তিন থেকে পাঁচটি নাম দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ এপ্রিল।
[আরও পড়ুন: টানা ২০ দিন শিয়ালদহ শাখায় বাতিল বহু লোকাল, ঘুরপথে চলবে কিছু ট্রেন, চরম ভোগান্তির আশঙ্কা]
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল। এনিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত নামের তালিকার চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করার জন্য আইনজীবীদের বৈঠকে বসার নির্দেশ দেয় আদালত। অ্যাটর্নি জেনারেলকে বৈঠকের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। এর পরই রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দুজনের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা মেটেনি।