সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন কার্ড দিতে হবে তিন মাসের মধ্যে। বৃহস্পতিবার রাজ্যগুলিকে এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। তবে যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম কেন্দ্রের ই-শ্রম পোর্টালে নথিভুক্ত কেবল তাঁদের ক্ষেত্রেই এই পদক্ষেপের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
সমাজকর্মী হর্ষ মান্দের, অঞ্জলি ভরদ্বাজ, জগদীপ ছোকারের আরজির পরই বিচারপতি এম আর শাহের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এদিন এমন নির্দেশ দিয়েছে। ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কমিউনিটি কিচেন ও শুকনো রেশন দেওয়ার। কিন্তু সুপ্রিম নির্দেশকে কার্যত অমান্য করছে বহু রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, অভিযোগ ছিল এমনই। সেই প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হর্ষ-অঞ্জলিরা।
[আরও পডুন: সুপ্রিম রায়ের পরই হাই কোর্টে কুন্তলের চিঠি মামলার শুনানি, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
সমাজকর্মীদের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এদিন দাবি করেন, যেহেতু আদমসুমারি হয়নি, সেই সুযোগে ১০ কোটিরও বেশি মানুষকে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, ২০১৩-র আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এমনকী রেশন কার্ডও নেই তাঁদের। ২০১১ সালের আদমসুমারি অনুযায়ীই সমস্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দেয়, ২৮.৫৫ কোটি শ্রমিক যাঁদের নাম ই-শ্রম পোর্টালে নথিভুক্ত, তাঁদের রেশন কার্ড দেওয়া ও জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য।