সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় (Bhopal Gas Tragedy) ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কেন্দ্রের বাড়তি ক্ষতিপূরণের দাবি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি এস কে কাউলের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডির ক্ষতিগ্রস্থদের অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য কেন্দ্রের দায়ের করা কিউরেটিভ পিটিশনের উপর রায় দিল আজ। কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত ৭,৮৪৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছিল। ২০১০ সালে ওই মামলা হয়। এদিন সেই আরজি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট।
চার দশক আগের ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছিল ৩ হাজারের বেশি মানুষের। গ্যাস বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা লক্ষাধিক। ইউনিয়ন কার্বাইড এবং অন্যান্য সংস্থাগুলির এর আগে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৪৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৯৮৯ সালে নিষ্পত্তির সময় ৭১৫ কোটি টাকা) দেবে বলে ঠিক হয়। যদিও কেন্দ্রের তরফে পরবর্তীকালে ৭,৮৪৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত অর্থ দাবি করা হয় ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। যদিও ইউনিয়ন কার্বাইড কর্পোরেশনের হয়ে সিনিয়র আইনজীবী হরিশ সালভে শুনানিতে দাবি করেন, মীমাংসার সময় ভারত সরকার কখনই বলেনি যে নির্ধারিত অর্থ (৭১৫ কোটি টাকা) অপর্যাপ্ত ছিল। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বর্ধিত ক্ষতিপূরণের দাবিতে শীর্ষ আদালতে মামলা করে কেন্দ্র। এদিন সেই আরজি খারিজ করতে গিয়ে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কয়েক দশক পর ক্ষতিপূরণের অর্থ বৃদ্ধি নিয়ে গ্রহণযোগ্য যুক্তি দিতে পারেনি ভারত সরকার। ফলে এই দাবি গ্রহণযোগ্য নয়।
[আরও পড়ুন: একধাপে ৬৬ শতাংশ বেতনবৃদ্ধি দিল্লির বিধায়কদের, অন্যান্য রাজ্যের কী পরিস্থিতি?]
এছাড়াও এদিন ১৯৮৪ সালের ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা ঘিরে কেন্দ্রের উদাসীনতা নিয়ে কড়া বার্তা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, রিজার্ভ ব্যাংকে যে ৫০ কোটি টাকা রয়েছে তা ক্ষতিগ্রস্তদের বীমা সংক্রান্ত দাবির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হোক। উষ্মা প্রকাশ করে ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বীমার ক্ষেত্রে যে নীতি কেন্দ্রের অবলম্বন করা উচিত ছিল, তা আদৌ করতে পারেনি কেন্দ্র।