এসসি ইস্টবেঙ্গল: ১ (পেরোসেভিচ-পেনাল্টি)
নর্থইস্ট ইউনাইটেড: ১ (সানেক)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্য ছিল নর্থইস্টকে মাটি ধরিয়ে লাস্ট বয়ের তকমা ঘোচানোর। কিন্তু সে গুড়ে বালি। দুর্বল রক্ষণ আর ফিনিশিংয়ের চূড়ান্ত অভাবে আরও একবার অধরা রয়ে গেল জয়। সান্ত্বনা যেন একটাই, পিছিয়ে গিয়েও অন্তত হারের মুখ দেখতে হল না এসসি ইস্টবেঙ্গলকে (SC East Bengal)।
[আরও পড়ুন: এবার আইপিএলের নেতৃত্বে মায়াঙ্ক, কেএল রাহুলের উত্তরসূচি বেছে নিল প্রীতির পাঞ্জাব]
শেষ চারে পৌঁছনোর দৌড় থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল মারিও রিভেরার দল। এসসি ইস্টবেঙ্গল বা নর্থইস্টের মতো দলগুলো আপাতত খেলছে লিগ টেবিলের শেষতম স্থান এড়ানোর জন্য। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস জোগানোটাই কোচের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। ম্যাচের আগেই অবশ্য ফুটবলারদের তাতানোর কাজটা শুরু করে দিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ। বলেছিলেন, ছেলেরা ভালই খেলছেন। কিন্তু ম্যাচের ফলে ভাল খেলার ফলটা দেখা যাচ্ছে না। তাই লিগ তালিকার শেষস্থান থেকে উপরে ওঠাই ছিল রিভেরার একমাত্র লক্ষ্য। যে লক্ষ্যে শতচেষ্টা করেও পৌঁছনো গেল না।
গোলের একাধিক সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারলেন না পেরোসেভিচরা। নর্থইস্টের তুলনায় এদিন টার্গেটে বেশি শট নিয়েছিল লাল-হলুদই। এমনকী সেট পিস থেকেও গোল করার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু উলটে প্রথমার্ধে এগিয়ে গেল খালিদ জামিলের দলই। সুহেরের ক্রস থেকে ব্রাউনের হেডার হয়ে বল জমা হয় সানেকের পায়ে। সেখান থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি তিনি। প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েও অবশ্য লড়াই ছাড়েনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। বরং আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ে। কিন্তু গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হন লাল-হলুদ স্ট্রাইকাররা। অবশেষে পেনাল্টির সৌজন্যে সম্মানরক্ষা হল। গোল করে দলকে সমতায় ফেরান পেরোসেভিচ।
[আরও পড়ুন: দীপা কর্মকার কি সাসপেন্ড? আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশনের তথ্যে তুঙ্গে বিতর্ক]
এই ড্রয়ের পর ২০ ম্যাচে ১৪ নিয়ে তালিকার দশম স্থানেই রইল নর্থইস্ট। আর ১৯ ম্যাচে রিভেরার দলের সংগ্রহ ১১ পয়েন্ট। তাই সব মিলিয়ে আরও একবার হতাশাই সঙ্গী হল লাল-হলুদ ভক্তদের।