দুলাল দে: তাহলে কি মিটতে চলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) সমস্যা? সমস্যা মেটানোর জন্য আলোচনা শুরু হল দু’পক্ষের মধ্যে। দু’পক্ষ বলতে শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গল ফাউন্ডেশন এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। উভয় পক্ষের কর্তারাই আলোচনায় বসেছিলেন দু’পক্ষের মধ্যে চুক্তি সংক্রান্ত জট খুলতে।
ক্লাবের সঙ্গে ইনভেস্টরের চুক্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে রোজই কিছু না কিছু সমস্যা লেগেই রয়েছে। ক্লাব বলছে, ইনভেস্টর কর্তৃপক্ষ টার্মশিট অনুযায়ী চুক্তিপত্র দেয়নি। আবার ইনভেস্টর কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্লাবকে টার্মশিট অনুযায়ী চুক্তিপত্র পাঠানো হয়েছে সই করার জন্য। দুই পক্ষ যতক্ষণ না আলোচনায় বসে এক জায়গায় আসছে, ততক্ষন পর্যন্ত সমস্যা মেটার কোনও সম্ভাবনাই নেই। এদিকে, আইএসএলের অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি পরের মরশুমের জন্য দল গড়ার কাজ শুরু করে দিলেও চুক্তির জট না কাটায় সেই সমস্যাও মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এরকম পরিস্থিতিতে সমস্যা মেটাতে শুক্রবার আলোচনায় বসলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সিইও শিবাজি সমাদ্দার এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সভাপতি ডাঃ প্রণব দাশগুপ্ত। যে আলোচনার কথা স্বীকারও করলেন শিবাজি সমাদ্দার। ডাঃ দাশগুপ্তর চেম্বারে আলোচনা শেষে এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও বললেন, “কোনও সরকারি মিটিং নয়। ডাঃ দাশগুপ্ত অনেক দিনের পরিচিত। উনি অনেকদিন ধরেই চা চক্রে আমন্ত্রন জানিয়ে রেখেছিলেন। সেই কারেণই ওনার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।”
[আরও পড়ুন: নতুন এই টুর্নামেন্টে খেলতে আগ্রহী ভারতীয় ক্রিকেটাররা, দাবি ইয়ন মর্গ্যানের]
ঘটনা হচ্ছে, এদিন দু’পক্ষের আলোচনায় কীভাবে সমস্যার জট কাটানো সম্ভব হয়, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনায় হয়েছে। আলোচনা শেষে দু’পক্ষই যা অত্যন্ত পজিটিভ ভাবে দেখছে। ক্লাবের সভাপতি ডাঃ প্রণব দাশগুপ্ত, এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও পুরো পরিস্থিতি বুঝিয়ে সমস্যা মেটাতে বলেন। সেখানে ফুটবল রাইটসের উপরেই বেশি করে জোর দেওয়া হয়। যেমনটা মোহনবাগানের সঙ্গে আরপিজি গ্রুপের হয়েছে। আলোচনা শেষে শিবাজী সমাদ্দার বলেন, “বিভিন্ন ব্যক্তিগত আলোচনার মধ্যে অবশ্যই ক্লাব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কী আলোচনা হয়েছে, তা বলা সম্ভব নয়। কারণ, কোনওটাই সরকারি আলোচনা ছিল না। তবে এটুকু বলা যায়, দু’পক্ষের মধ্যেই পজিটিভ আলোচনা হয়েছে। আসলে কেউই চায় না, সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে থাকুক। সবাই চাইছে দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে।” সভাপতির তরফ থেকে কী কী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তা বলতে রাজি হননি এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও।
ইস্টবেঙ্গল সভাপতি ডাঃ প্রণব দাশগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় হয়তো মিঃ বাঙুর বসেননি। কিন্তু সিইও শিবাজি সমাদ্দার আলোচনায় বসার অর্থই হল, শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ এখনও ব্যাপারটা আলোচনার স্তরে রেখেছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শেষবারের জন্য জেনে নিতে চাইছে ক্লাবের মত। এই আলোচনায় বসার মধ্যেই তাই অনেকে সমস্যা মেটার আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। দু’পক্ষই নিজেদের দিক থেকে কিছু ছেড়ে সমস্যা মিটলেও মিটতে পারে। কিন্তু শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষ ক্লাবের কোন শর্তগুলি মেনে নিতে রাজি হবেন, তা সময়ই বলবে।