মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য: ২৪ ঘণ্টা আগে দেখেছি এটিকে মোহনবাগানের খেলা। রবিবার এসসি ইস্টবেঙ্গল কী করে তা দেখার জন্য টিভির সামনে বসব। কলকাতার দুই প্রধানের মধ্যে দলগত পার্থক্য না করে একটা কথা বলতে পারি, নতুন প্রেক্ষাপটে সাজার অপেক্ষায় লাল-হলুদ শিবির। গতবারের দলের সঙ্গে এবারের দলের তুলনা না করাই ভাল। তাই গতবারের প্রিয় দলের খেলা দেখে যাঁরা অখুশি হয়েছিলেন, এবার বিপরীত ছবি ভেসে ওঠাই স্বাভাবিক। আসুন সেই কারণ বিশ্লেষণে যাই।
প্রথম ও প্রধান কারণ মনে করি দলগঠন। গতবার ঘরোয়া ফুটবলার খেলানো যেত ছ’জন। এবার সংখ্যা একটা বেড়েছে। অর্থাৎ সাতজন খেলবে। ফলে ঘরোয়া ফুটবলার হবে অন্যতম একটা ফ্যাক্টর। গতবার তড়িঘড়ি করে দল গড়তে গিয়ে সব বাতিল ঘোড়া নিয়ে এসেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। এবার সেই তুলনায় অনেক ভাল মানের দেশীয় ফুটবলার দলে নিতে পেরেছে। সবচেয়ে বড় রিক্রুট গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য। গতবার এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) সেরা গোলকিপার হয়েছিল অরিন্দম। আদিল খান এসেছে। তাছাড়া হাওকিপ,জ্যাকিচাঁদ, বিকাশ জাইরুরা গতবার নিয়মিত না খেললেও এখনও দাপিয়ে খেলার ক্ষমতা রাখে। গতবার দল সেট করতে সময় লেগেছিল। এবার তেমন সময় লাগবে না। মানছি, সংশয় ছিল দলের খেলা নিয়ে। কিন্তু সকলে জানত ঠিক খেলবে এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)।
[আরও পড়ুন: আগামী বছর আইপিএল হবে দেশের মাটিতে, জানিয়ে দিলেন BCCI সচিব জয় শাহ]
বিদেশি বাছাইতেও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। গতবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা বিদেশিরা খেলেছিল। কিক এন্ড রানের উপর যারা খেলে। এবার লা লিগা খেলা বিদেশিরা এসেছে। স্প্যানিশ ঘরানার খেলা অনেকটা লাতিন আমেরিকার মতো। খেলতে খেলতে মাঝ মাঠ থেকে উঠে আসে। তারপর হঠাৎ গতি বাড়িয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেয়। প্রতি-আক্রমণ ভিত্তিক খেলা খেলে। অনেক আগে থেকে দল প্র্যাকটিসে নেমেছে। বেশ কিছু প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলেছে। জিতেওছে। ফলে মনোবল তুঙ্গে রেখে নামতে পারবে। আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাওয়া দলকে ধরে রাখা মুশকিল।
এছাড়া বিদেশিদের বয়স। গতবার বিদেশিরা ছিল ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে। এই বয়সে ফিট হওয়া সহজ কথা নয়। এবার টমিস্লাভ, ফ্রাঞ্জো, আমির দারভিসেভিচ, ড্যারেন সিদোয়েল, ড্যানিয়েল চিমা চুকুউ, অ্যান্তোনিও পেরোসেভিচদের গড় বয়স অনেক কম। আজ জামশেদপুরের মুখোমুখি হবে মানোলো দিয়াজ বাহিনী। জামশেদপুরও কিন্তু এবার সহজে ছেড়ে দেবে না। তাই লড়াই হবে ভালই।