সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদকে মজেছে পাঞ্জাব! রুপোলি পর্দায় ‘উড়তা পাঞ্জাব’ হাততালি কুড়োলেও বাস্তবে সীমান্তবর্তী রাজ্যটির পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এই বিষয়ে এবার রাজ্য সরকারকে একহাত নিল সুপ্রিম কোর্ট। ক্ষুব্ধ আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, মাদকচক্রের কথা জেনেও ‘নিষ্ক্রিয়’ প্রশাসন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার মাদক সংক্রান্ত একটি মামলায় পাঞ্জাব সরকারকে তুলোধোনা করে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি সি টি রবিকুমারের বেঞ্চ অত্যন্ত কড়া ভাষায় সরকারের সমালোচনা করে। ভৎর্সনার সুরে বিচারপতিরা বলেন, “পাঞ্জাবে মাদক সেবনের সমস্যা ক্রমে বাড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে যুবপ্রজন্ম শেষ হয়ে যাবে। কেউ যদি ভারতকে ধ্বংস করতে চায়, তাহলে সীমান্তবর্তী রাজ্য দিয়ে কাজ শুরু করবে। তাই রাজ্য সরকারকে আরও সতর্ক হতে হবে। আপনারা কী করছেন? বিষ মদে আরও প্রাণহানির অপাক্ষা করছেন কি আপনারা?”
[আরও পড়ুন: মাঝরাতে তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেপ্তার করল গুজরাট পুলিশ]
সুপ্রিম কোর্টের এহেন ভৎর্সনার মুখে পড়ে পাঞ্জাব সরকারের আইনজীবী অজিত কুমার সিনহা জানান, পাকিস্তান সংলগ্ন রাজ্য হওয়ায় পাঞ্জাবে মাদক ও মদ পাচারেক সমস্যা এত বেশি। তবে আইনজীবীর কথায় সন্তুষ্ট না হয়ে বিচারপতিরা পালটা বলেন, “গত দু’ বছরে মাদক-বেআইনি মদ তৈরি ও পাচার সংক্রান্ত ৩০ হাজার এফআইআর হয়েছে। মাদক পাচার রুখতে রাজ্য সরকার যে ব্যর্থ এটা কি তারই প্রমাণ নয়! আপনারা শুধু এফআইআর করেই ক্ষান্ত। এরপর আর কোনও কাজ হচ্ছে না। এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে গরীব লোককে।”
মাদক ও বেআইনি মদ তৈরি, সেবন এবং পাচার রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তা রাজ্য সরকারকে জানাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, পাঞ্জাবে মাদক ও মদ সেবনের সমস্যা বহুদিনের। চলতি বছর নেশামুক্ত পাঞ্জাব গড়ার ডাক দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন ভগবন্ত মান। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধেও মদ্যপ অবস্থায় গুরুদ্বারে যাওয়ার আভিযোগ রয়েছে। ফলে ‘উড়তা পাঞ্জাব’ কবে নেশামুক্ত হবে তা সময়ই বলবে।