সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইমামদের ভাতা বা বেতন দেওয়া সংবিধান বিরোধী। এমনটাই জানাল কেন্দ্রের তথ্য কমিশন। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের মতে, এর ফলে একটি ভুল বার্তা যাচ্ছে। এবং অকারণে এর ফলে রাজনৈতিক বিবাদের সৃষ্টি হচ্ছে।
একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ওয়াকফ বোর্ডে অধীনে থাকা মসজিদগুলির ইমামদের মাসিক বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। শনিবার কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন (Central Information Commission) ওই নির্দেশকে ‘সাংবিধানিক লঙ্ঘন’ বলে মন্তব্য করেছে। এই বিষয়ে দিল্লি সরকার ও দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে তথ্যের অধিকার আইনে এক ব্যক্তির আবেদনের শুনানিতে তথ্য কমিশনার উদয় মাহুরকর বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ওই নির্দেশে শুধু সংবিধান লঙ্ঘনই হয়নি, পাশাপাশি বিষয়টি ভুল নজির সৃষ্টি করেছে এবং অপ্রয়োজনীয় রাজনৈতিক বিতর্ক এবং সামাজিক বৈষম্যের একটি বিন্দুতে পরিণত হয়েছে৷”
[আরও পড়ুন: মন মজেছে পরপুরুষে! প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে খুনের পর দেহ লোপাট করল স্ত্রী]
তিনি আরও বলেছেন যে, “সংবিধান অনুসারে করদাতাদের অর্থ কোনও ধর্মের অনুকূলে ব্যবহার করা যায় না।” ১৯৯৩ সালে অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের (All India Imam Organisation) একটি আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট ওয়াকফ বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছিল যে তাদের দ্বারা পরিচালিত মসজিদগুলিতে ইমামদের পারিশ্রমিক দিতে হবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল যে আদেশের একটি অনুলিপি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর কাছে যথাযথভাবে ব্যবস্থা নিয়ে পাঠাতে হবে এবং দেখতে হবে যাতে সংবিধানের ২৫ থেকে ২৮ অনুচ্ছেদের বিধানগুলি অক্ষরে ও চেতনায় প্রয়োগ করা যায়, এবং সমস্ত ধর্মের পুরোহিতদের কেন্দ্র ও রাজ্যের কোষাগার থেকে মাসিক পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে সাম্য রাখা যায়।
[আরও পড়ুন: নামতা বলতে না পারার শাস্তি! খুদে পড়ুয়ার হাতে ড্রিলিং মেশিন চালাল শিক্ষিকা]
এই ইস্যুতে দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের (Delhi Waqf Board) বিরুদ্ধেও কড়া অবস্থান নিয়েছে তথ্য কমিশন। অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন আগে RTI করা সত্ত্বেও ওয়াকফ বোর্ড কোনও জবাব দেয়নি। সেই অভিযোগে ওয়াকফ বোর্ডকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে তথ্য কমিশন। CIC বলছে, ইমাম-মোয়াজ্জেমরা মাসে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকে। যার বেশিরভাগটাই আসে দিল্লি সরকারের অনুদান থেকে। দিল্লি সরকার ওয়াকফ বোর্ডকে মাসিক ৬২ কোটি টাকা করে দেয়। আর তাদের নিজেদের আয় মাত্র ৩০ লক্ষ। এর উলটোদিকে হিন্দু পুরোহিতরা মাসে মাত্র ২ হাজার টাকা করে পান। সেটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।