সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বড় ধাক্কা তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ইডির গ্রেপ্তারিকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই মামলা খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। আদালত জানিয়ে দিল, তাঁরা সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। ইডি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি তদন্ত করছে। এই গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে কোনও রক্ষাকবচ ছিল না। তাই গ্রেপ্তারির অবৈধ নয়।
সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারি এড়াতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (TMC MLA Manik Bhattacharya)। মিলেছিল রক্ষাকবচও। অর্থাৎ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই রক্ষাকবচের বলয় থাকা সত্ত্বেও তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি বলে অভিযোগ। রক্ষাকবচ থাকা সত্ত্বেও ইডির গ্রেপ্তারি অবৈধ দাবি করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মানিক।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে বড়সড় নাশকতার ছক? বারাকপুর থেকে ১০০ কেজি বিস্ফোরকের মশলা উদ্ধার]
উলটোদিকে ইডির তরফের আইনজীবী সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেন, রক্ষাকবচ ছিল সিবিআইয়ের (CBI) ক্ষেত্রে, ইডির জন্য নয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে। সেই সংক্রান্ত যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে ইডির হাতে। তার উপর ভিত্তি করেই ইডিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিন তুষার মেহতার যুক্তি মেনে নেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। মানিক ভট্টাচার্যের আরজি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। ফলে আপাতত ইডি হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। সেই মামলায় এদিন কার্যত রক্ষাকবচ পেয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। সিবিআই তদন্ত চালিয়ে গেলেও মানিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কোন পথে তদন্ত চলছে, তদন্তের অগ্রগতি কত দূর, কোন পথে এগোতে চাইছে সিবিআই (CBI), ৪ সপ্তাহ পর সেই রিপোর্টে দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি।