shono
Advertisement

বিধায়ক, সাংসদদের বাক স্বাধীনতায় অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা চাপাল না সুপ্রিম কোর্ট

রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে সংবিধানের ১৯(১)(এ) ধারা।
Posted: 12:45 PM Jan 03, 2023Updated: 01:24 PM Jan 03, 2023

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বাক স্বাধীনতার (Freedom of Speech) প্রশ্নে বিধায়ক, সাংসদদের উপরে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বাক স্বাধীনতা সংক্রান্ত সংবিধানের ১৯(১)(এ) ধারাই কার্যকর হবে তাঁদের জন্যও। যেমনটা সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও কার্যকর। মঙ্গলবার এই রায় দিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের বেঞ্চ। সাধারণ মানুষের মতোই সরকারি কাজের ভুলভ্রান্তি নিয়ে সমালোচনা করতে পারেন একজন নেতা, বললেন বিচারপতিরা। 

Advertisement

জনপ্রতিনিধিরা কী বলতে পারেন, কী পারেন না। তাঁদের বাক স্বাধীনতায় কোনও বিধিনিষেধ জারি করা উচিত কিনা। এই সংক্রান্ত মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। উল্লেখ্য, অতীতে বেশ কিছু এমন ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য উসকানির কাজ করেছে। যার মধ্যে অন্যতম কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের (Anurag Thakur) সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের গুলি করার বিধান। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরেই জনপ্রতিনিধিদের জন্য নয়া কোড অব কন্ডাক্ট লাগু করার দাবি উঠেছে। এই মর্মে শীর্ষ আদালতে দায়ের হয়েছে বহু মামলা।

[আরও পড়ুন: সীমান্তে অনুপ্রবেশের ছক বানচাল, পাঞ্জাবে BSF-এর গুলিতে খতম পাক অনুপ্রবেশকারী]

২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর তেমনই এক মামলার শুনানিতে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠায়। সদ্য শেষ হওয়া বছরের ১৫ নভেম্বর এই মামলার রায় সংরক্ষিত করে সাংবিধানিক বেঞ্চ। সেদিন মৌখিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন বলেছিলেন, জনপ্রতিনিধি হোন বা সরকারী কর্মচারি। সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রত্যেক মানুষের যেমন বাক স্বাধীনতা আছে, তেমনই অনুচ্ছেদ ১৯(২) মোতাবেক কারও এমন কোনও মন্তব্য করার অধিকার নেই, যার জেরে অন্য সহ নাগরিকের সম্মানহানি হয়। তাই আলাদা করে কোনও কোড অব কন্ডাক্টের প্রয়োজন নেই।

[আরও পড়ুন: ১৩ দিনে রাশিয়ার ৩ নাগরিকের রহস্যমৃত্যু ভারতে, এবার কার্গো জাহাজে মিলল রুশ ইঞ্জিনিয়ারের দেহ]

মঙ্গলবার রায়দানের সময় বিচারপতি আবদুল নাজিরের (Justice Abdul Nazeer) নেতৃত্বাধিন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই কথাই জানিয়েছে। তবে আদালত এইসঙ্গে জানিয়েছে, একজন জনপ্রতিনিধি যদি বাক স্বাধীনতার নামে আইন লঙ্ঘন করেন। যা থেকে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, তবে স্বাভাবিক নিযমে আইন মোতাবেক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement