কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: কন্যাশ্রী প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে রূপায়িত করতে স্কুলগুলিকে একটি করে নোডাল অফিসার পদ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা দপ্তর। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে অন্য একটি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, কন্যাশ্রী-সহ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যে অন্যান্য প্রকল্পগুলি রয়েছে সেগুলি সুষ্ঠুভাবে রূপায়িত করতে ‘দুয়ারে সরকার’-এর শিবিরের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয় রাখতে হবে বিদ্যালয়গুলির সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। শিবিরে উপস্থিত থাকার কথাও জানানো হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে এই নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে। স্কুলের প্রধানদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, রাজ্যের প্রায় সর্বত্র দুয়ারে সরকার কর্মসূচির কাজ চলছে। সেখানে রাজ্য সরকারের অন্যতম আলোচিত কন্যাশ্রী এবং অন্যান্য প্রকল্পগুলির সুবিধা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে উপস্থিত থাকছেন সরকারি আধিকারিকরা। ওই শিবিরে উপস্থিত থেকে প্রকল্পের কাজ দ্রুত রূপায়নের চেষ্টা করতে হবে স্কুলের তরফ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের।
[আরও পড়ুন : কৃষক আন্দোলনের প্রভাব বঙ্গেও, শিখ সম্প্রদায়ের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ ডানকুনি টোল প্লাজা]
আগের সপ্তাহে শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, কন্যাশ্রী প্রকল্প দেখভালের জন্য একটি করে নোডাল আধিকারিকের পদ সৃষ্টি করতে হবে স্কুলগুলিকে। কন্যাশ্রী প্রকল্পকেন্দ্রিক যাবতীয় কাজ দেখভালের দায়িত্ব থাকবে ওই আধিকারিকের উপর। তিনি সরকারের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করবেন এবং ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। কন্যাশ্রী সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব তাঁর উপরই ন্যস্ত থাকবে।
এই নির্দেশিকার তিনদিনের মাথায় সরকার জানিয়ে দিল, কন্যাশ্রী-সহ রাজ্য সরকারের অন্যান্য প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যেতে স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের দুয়ারে সরকার শিবিরে উপস্থিত থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেখান থেকে তাঁদের উপভোক্তাদের ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। এবং বাদবাকি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এরপর আধিকারিকরা মহকুমা, ব্লক এবং পুরসভা স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে সেগুলি রূপায়ণ করবেন। জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সরকারের তরফ থেকে স্কুলগুলিকে জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন : বেআইনিভাবে চাষের জমি দখলের ছক? কৃষিকাজ ঘিরে বোমাবাজি, গুলিতে রণক্ষেত্র কাটোয়া]
সরকারি প্রকল্পগুলিকে মানুষের দরজায় পৌঁছে দিতে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চালু করেছে রাজ্য। এই কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বাংলার প্রতিটি প্রান্তে। স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী-সহ সরকারি স্কলারশিপগুলো নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে। এই অবস্থায় দাড়িয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পকে আরও বেশি জনমুখী করে তুলতে নোডাল অফিসার পদ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। এর ফলে কন্যাশ্রী উপভোক্তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলেও মনে করছে রাজ্যবাসী। পাশাপাশি অন্যান্য প্রকল্পগুলির সুবিধা ঘরের দুয়ারে চলে আসার ফলে উপকৃতের সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন অনেকে।