কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: স্কুল-কলেজ খোলার ক্ষেত্রে আগেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাজ্য। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে কোভিড পরিস্থিতির উপর। “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর নজরে রেখেছেন। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি যেমন পরামর্শ দেবেন সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে শিক্ষা দপ্তর”, রবিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এমনটাই জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
রবিবার দমদম বিধানসভা কেন্দ্রে একটি সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দমদমের বিধায়ক ব্রাত্য বসু বলেছেন, “কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁর সিদ্ধান্ত মোতাবেক খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।” প্রসঙ্গত, পুজোর পর স্কুল খোলার সম্ভবনা রয়েছে বলে মাস কয়েক আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কালীপুজোর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারে বলে ভাবছিল শিক্ষাজগৎ। মুখ্যমন্ত্রী তখন জানিয়েছিলেন, খোলার আগে অবশ্য তৎকালীন করোনা পরিস্থিতি বিচার করে তবেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
[আরও পড়ুন: স্বামী ও সতীনের অত্যাচারে জর্জরিত গৃহবধূ, ‘রেহাই’ পেতে তিন সন্তানকে নিয়ে ঝাঁপ দিলেন ক্যানালে]
দুর্গাপুজো মিটে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। এদিন তারই উত্তর দিয়েছেন ব্রাত্য বসু। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের কাছে প্রধান বিবেচ্য বিষয় স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী চূড়ান্ত নির্দেশ দেবেন। তিনি গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সম্পর্কে সবথেকে বেশি ওয়াকিবহাল। তাঁর নজরদারিতেই রয়েছে গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি। তা দেখে তিনি যে মুহূর্তে নির্দেশ দেবেন আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব। যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে তা ধাপে ধাপে সকলকে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
এদিন শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিষয়ও উঠে এসেছে। বিজেপি ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। কিন্তু রাজ্যের মানুষ তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই তাস খেলে নির্বাচনে হেরেছে তাঁরা। এখনও যদি এই রাজনীতি করে চলে তাহলে মানুষ তার জবাব দেবেন বলে মনে করেন ব্রাত্যবাবু। তাঁর বক্তব্য, আসন্ন পুরসভা, পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে বিভাজনের রাজনীতির কুফল টের পাবে বিজেপি। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, “সব দেশের সরকারেরই কর্তব্য, সেই দেসের সংখ্যালঘু মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া। নরেন্দ্র মোদির আমলে আমাদের দেশে সেই নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। অথচ এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত ধর্মের, সব সম্প্রদায়ের মানুষকে সমানভাবে নিরাপত্তা দিয়েছেন, সম্প্রীতির পরিবেশ উপহার দিয়েছেন। কেউ সেটা ভাঙার চেষ্টা করলে র্যজের প্রশাসন তার যথোপযুক্ত জবাব দেবেন।”