দিপালী সেন: রান্না করা মিড-ডে মিলের গুণমান কেমন, জানতে রাজ্যের সব জেলাকে মিড-ডে মিলের নমুনা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর। প্রতি মাসে জেলার অন্ততপক্ষে ২০টি স্কুলের মিড-ডে মিলের নমুনা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছিল। সম্প্রতি সেই সংক্রান্ত অগ্রগতির রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন মিড-ডে মিল প্রকল্পের রাজ্য অধিকর্তা।
মিড-ডে মিল তথা পিএম পোষণ প্রকল্পের ২০২২ সালের গাইডলাইনে নমুনা পরীক্ষার কথা বলা রয়েছে। তা অনুযায়ী চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের তরফে সব জেলার জেলাশাসক ও মিড-ডে মিলের জেলা প্রকল্প অধিকর্তাদের পাঠানো হয়েছিল মিড-ডে মিলের পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশিকাটি। বলা হয়েছিল, স্বীকৃত ল্যাবরেটরির সাহায্যে সময়ে সময়ে রান্না করা মিড-ডে মিলের নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। মিড-ডে মিলের গুণগত মানের উন্নতির উদ্দেশ্যে খাবারের স্বাস্থ্য, রাসায়নিক ও পুষ্টিগত মাণদণ্ডের ভিত্তিতে পরীক্ষা করতে বলা হয়েছিল। প্রতি মাসে অন্ততপক্ষে ১৫টি প্রাথমিক ও ৫টি উচ্চপ্রাথমিক স্কুলের মিড-ডে মিলের নমুনা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছিল জেলাগুলিকে।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী করতে লক্ষাধিক টাকা ‘ঘুষ’, কাঠগড়ায় পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা]
খাদ্য পরীক্ষার জন্য রাজ্যে সরকারি মাত্র দু’টি ল্যাবরেটরি রয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরি ও কেএমসি সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি। সেগুলিতেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে, প্রয়োজনীয় শর্ত মেনে পৌঁছে দিতে হয় খাবারের নমুনা। নির্দেশিকা মোতাবেক, নমুনা সংগ্রহের সময় থেকে দু’ঘণ্টার মধ্যে কোল্ড চেন বজায় রেখে তা ল্যাবরেটরিতে পৌঁছে দিতে হয়। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই কারণে রাজ্যের সব জায়গায় মিড-ডে মিল পরীক্ষা করানো তেমনভাবে সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, “গ্রামীন এলাকায় খাদ্য পরীক্ষার ল্যাবরেটরি প্রায় নেই। ফলে সব জায়গায় পরীক্ষা করা বেশ মুশকিল। নমুনা কলকাতায় পাঠালে যতক্ষণে পৌঁছবে ততক্ষণে সেটা পচে যাবে। সেকারণে মূলত শহর বা শহর লাগোয়া জায়গার নমুনাই পরীক্ষা করা হচ্ছে।” একই মত মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদারের। তাঁর বক্তব্য, “যেভাবে মিড-ডে মিলের পরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে, তা সম্ভব নয়।”