অর্ণব আইচ: প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়। তারই জেরে বন্ধুত্বের নামে যৌন নির্যাতন। কলকাতার দু’জায়গায় দুই নাবালিকার উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হল অভিযুক্ত দুই যুবক। তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এর মধ্যে একটি ঘটনা ঘটে মধ্য কলকাতার বউবাজার এলাকায়। এখানকারই বাসিন্দা এক নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় পাঞ্জাবের বাসিন্দা এক যুবকের। বান্ধবীর টানে করণকুমার নামে ওই যুবক পাঞ্জাব থেকে এসে উপস্থিত হয় কলকাতায়। বউবাজারে ওই কিশোরী ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করে। বন্ধু হিসাবেই ওই যুবককে ছাত্রী তার বাড়িতে নিয়ে যায়। শনিবার বিকেলে বাড়িতে কেউ ছিলেন না।
[আরও পড়ুন: ১৮ বছরের লড়াই নিমেষে মিথ্যে! ধর্ষকদের ‘হিরো’ হতে দেখে হতবাক বিলকিসের স্বামী]
কিশোরীর অভিযোগ, সেই সুযোগেই ওই যুবক তার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। এর পর সে পালানোরও চেষ্টা করে। কিন্তু কিশোরী প্রতিবাদ জানিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। চলে আসেন প্রতিবেশীরা। ক্রমে আসেন পরিবারের লোকেরাও। ওই যুবককে ধরে বউবাজার থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওই কিশোরী ও অভিযুক্ত দু’জনেরই মেডিকো লিগ্যাল পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
এদিকে, অন্য ঘটনায় উত্তর কলকাতার এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় আমহার্স্ট স্ট্রিটের বাসিন্দা এক নাবালিকা ছাত্রীর সঙ্গে। সম্প্রতি পুলিশের কাছে কিশোরীর পরিবারের লোকেরা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাকে অপহরণের অভিযোগ জানান। ‘অপহৃত’ ওই কিশোরীর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকলেও তার কললিস্ট পুলিশ খতিয়ে দেখে। সেই সূত্র ধরেই অভিযুক্ত যুবক আমন গুপ্তাকে শনাক্ত করে পুলিশ। মোবাইল ও আমনের পরিচিতদের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে যে, জলপাইগুড়িতে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে সে। তারই ভিত্তিতে পুলিশ জলপাইগুড়িতে তল্লাশি চালায়। আমনের এক পরিচিতর বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে। অভিযুক্ত আমনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। দু’জনকেই কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। যৌন নির্যাতনের দুই অভিযুক্তকেই জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।