সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার পাশাপাশি গোটা দেশেই কমবেশি দাবদাহের (Heat Wave) পরিস্থিতি। বিশেষ করে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। বাংলার মতোই পুড়ছে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড। তবে, বাংলার মতো ঝাড়খণ্ড সরকার সেরাজ্যের স্কুলে পুরোপুরি ছুটি ঘোষণা করেনি। বরং পঠনপাঠনের সময় বদলে দেওয়া হয়েছে। চালু হয়েছে 'মর্নিং স্কুল'।
শনিবার দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরম ছিল ঝাড়খণ্ডে। ডালটনগঞ্জে তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রবিবার অবশ্য বাংলা এবং ওড়িশা ঝাড়খণ্ডকে টেক্কা দিয়েছে। তবে এত গরমেও পড়ুয়াদের পঠনপাঠনে কোনওরকম 'বিরতি' চাইছে না সেরাজ্যের সরকার। ছুটির বিকল্প হিসাবে বদলে দেওয়া হয়েছে স্কুলের সময়।
[আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তার পরও পুরোপুরি এড়ানো যায়নি হিংসা, মণিপুরে পুনর্নির্বাচন ঘোষণা কমিশনের]
ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) শিক্ষা দপ্তরের তরফে শনিবার এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২২ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে ক্লাসের সময় এগিয়ে আনা হচ্ছে। নার্সারি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস হবে সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। আর নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস চলবে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত। সেই সঙ্গে স্কুল চলাকালীন রোদের মধ্যে প্রার্থনা বা খেলাধূলার আয়োজন করার ব্যাপারেও সাবধান থাকতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
[আরও পড়ুন: বিরোধীদের কাছে আগামী দিনের স্পষ্ট ছবি নেই, বলছেন অনুরাগ ঠাকুর]
উল্লেখ্য, তীব্র গরমের জেরে এরাজ্যের স্কুলগুলোতে ইতিমধ্যেই ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ২২ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার থেকে রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য অনির্দিষ্টকালের ছুটি। পরিবেশ পরিস্থিতি বিচার করে স্কুল খোলার ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। তবে কালিম্পং, কার্শিয়াং ও দার্জিলিংয়ের স্কুলগুলি আপাতত খোলাই থাকবে। রাজ্যের এই অনির্দিষ্টকালের ছুটি নিয়ে আপত্তি রয়েছে শিক্ষামহলের একাংশের।