সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঠিক দেড় বছর পর বাংলাদেশের (Bangladesh) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলে দেওয়ার দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুল (Schools), শুরু হবে ক্লাস। তার আগে শুরু হয়ে গেল প্রস্তুতি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবরকম সতর্কতার সঙ্গে স্কুলগুলোতে ক্লাস চালু করা নিয়ে খানিকটা চিন্তায় শিক্ষকমহল। সপ্তাহে ৫ কিংবা ৬ দিনই যদি ক্লাস হয়, তাহলে কোভিড বিধি লঙ্ঘিত হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁদের একাংশ। ময়মনসিংহের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাই সপ্তাহখানেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করল।
করোনা (Coronavirus) সংকটের জেরে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ, মাঠ, শৌচালয়-সহ বিভিন্ন জায়গা অপরিষ্কার হয়ে পড়েছে। সেসব পরিষ্কার করা দীর্ঘ পদ্ধতি। শুক্রবার প্রশাসন বিদ্যালয়গুলি ১২ সেপ্টেম্বর খোলার কথা ঘোষণা করার পর শনিবার থেকেই তাঁরা প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মাদ্রাসায় ধর্ষণের শিকার ১০ বছরের শিশু, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত শিক্ষক]
রবিবারও ময়মনসিংহের রামবাবু সড়কের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ক্লাসরুম এবং বিদ্যালয় চত্বর পরিষ্কারের কাজ চলে। প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার বলেন, ”করোনা মোকাবিলায় বিশেষ প্রস্তুতি হিসেবে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে বেসিন। তার সামনে রাখা হবে সাবান। পড়ুয়াদের মাস্ক (Mask) পরা-সহ একাধিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য ইতিমধ্যে অনলাইন ক্লাসে মহড়া হয়েছে।” আবার কে বি ইসমাইল সড়কের প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাইস্কুল ও মহারাজা সড়কের মুকুল নিকেতন উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি। একসঙ্গে সব শ্রেণির ক্লাস হলে এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা কঠিন হবে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
[আরও পড়ুন: ফিদায়েঁ জঙ্গি হতে ভেঙে দিয়েছিল বিয়ে, ১৯ বছরের নাবিলা শোনাল জঙ্গি হয়ে ওঠার ভয়ংকর গল্প]
দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলায় অনেকেই খুব খুশি। তবে শ্রেণিকক্ষে পড়ুয়াদের আসন বিন্যাস নিয়ে ভাবনা চলছে। অন্য সময়ে একটি বেঞ্চে চারজন করে পড়ুয়া বসছে। কোভিড পরিস্থিতিতে এক বেঞ্চে কতজনকে বসানো হবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি।আরও এক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, করোনা কালে বিশেষ প্রস্তুতি হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রতিটি তলায় বেসিন বসানো হয়েছে। সেসব বেসিনে পর্যাপ্ত সাবান ও স্যানিটাইজার রাখা হবে। এছাড়া পড়ুয়াদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে তবেই ক্লাসে বসার অনুমতি দেওয়া হবে। সেই কারণে থার্মাল স্ক্যানার (Thermal scanner) কিনেছেন তাঁরা।