সুকুমার সরকার, ঢাকা: মহামারী করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউয়ে তটস্থ প্রায় গোটা বিশ্ব। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও (Bangladesh)। উদ্বিগ্ন হাসিনা প্রশাসন।তা মোকাবিলায় তৎপর বাংলাদেশ। আর এই কারণেই পিছিয়ে গেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দিনক্ষণ। এর আগে ঘোষণা করা হয়েছিল, দেশের সমস্ত স্কুল-কলেজ ৩০ মার্চ খুলে দেওয়া হবে। সপ্তাহ দুই আগে এই ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মণি। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ফের নতুন করে থাবা বসিয়েছে। ব্রিটেনের নয়া স্ট্রেনে বাড়ছে বিপদ। তাই এখনই স্কুল খুলছে না। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলা হবে না বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
করোনা মোকাবিলায় সতর্ক হাসিনা প্রশাসন ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট (SII) থেকে সংগ্রহ করেছে ভ্যাকসিন। পর্যায়ক্রমে ওই টিকা বাংলাদেশে আসছে। টিকাদানও শুরু হয়েছে গত জানুয়ারি থেকে। এর মধ্যেই আবার দেশে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে। বাংলাদেশে ৬ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে ব্রিটেনে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন স্ট্রেন ‘এন৫০১ওয়াই’। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক এ এস এম আলমগির ব্রিটেনে শনাক্ত হওয়া নয়া স্ট্রেনের কথা জানিয়ে বলেন, দেশে ৬ জনের মধ্যে ব্রিটেনের করোনার নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। আইইডিসিআরের উপদেষ্টা মোস্তাক হোসেন বলেন, “এই নতুন স্ট্রেনের কারণে শনাক্তের হার বাড়ছে কি না, তা এখনই বলা কঠিন হবে। এর জন্য জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে হবে। ভাইরাসটির রূপ পরিবর্তন হচ্ছে কি-না, তা জানতে সরকারের নিয়মিতভাবে জিনোম সিকোয়েন্সিং করা উচিত।”
[আরও পড়ুন: ‘ঠিক সময়েই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে’, বিরোধীদের জবাব মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের]
করোনার হারবৃদ্ধি ও নতুন স্ট্রেন দেখা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সময় পিছোতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ডা. দীপু মনি ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে তাঁর মতামত জানান। এদিকে দেশে টানা তৃতীয় দিনের মত হাজারের বেশি করোনার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দৈনিক শনাক্তের হার ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মার্চের শুরু থেকে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে এক হাজার ১৪ জন শনাক্তসহ দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ২৩৬ জন।