সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪ সালে মৃত্যু হয়েছিল ১২৫টি বাঘের। আর এবছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের। অর্থাৎ ২০২৪ থেকে ধরলে মৃত বাঘের সংখ্যা ২৪২! বছর শেষের আগে তা আরও বেড়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা। 'ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথোরিটি' তথা NTCA-র তথ্য থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
দেখে নেওয়া যাক, গত কয়েক বছরে ছবিটা কেমন। তথ্য বলছে ২০১৯ সালে ৯৬টি বাঘের মৃত্যু হয়েছিল দেশভর। তা ২০২০ সালে বেড়ে হয় ১০৬। ২০২১ সালে সেটা আরও বেড়ে পৌঁছয় ১২৭-এ। যা সামান্য কমে ২০২২ সালে। ওই বছর দেশজুড়ে ১২১টি বাঘের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু পরের বছরই গত দশকের সবচেয়ে বেশি বাঘের মৃত্যু হয়। ২০২৩ সালে মৃত বাঘের সংখ্যা ১৭৮-এ দাঁড়ায়। ২০২৪ সালে হয়েছিল ১২৫টি বাঘের মৃত্যু। আর এবছরের আগস্ট পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসেবেই বলছে সংখ্যাটা ১১৭!
বাঘমৃত্যুর ক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশই দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে। কেবল ২০২৪ সালেই ৪৬টি বাঘের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে। পরের স্থানে মহারাষ্ট্র। সেখানে সংখ্যাটা ২৩! কর্নাটকে হয়েছিল ১১ বাঘের মৃত্যু।
বাঘের মৃত্যুর ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ হতে পারে চোরাশিকারীদের আক্রমণ। যদিও যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে এই হিসেব দেওয়া নেই। তবে বলা যেতেই পারে প্রাকৃতিক কারণে মৃত্যু, অন্য পশুর আক্রমণে মৃত্যু, মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে হওয়া মৃত্যুর পাশাপাশি চোরাশিকারীদের দিকটিকে অবহেলা করা যায় না। তবে এনটিসিএ সূত্রের দাবি, চোরাশিকার আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। কিন্তু যেহেতু সাম্প্রতিক তথ্যে এই বিভাজন নেই, তাই হলফ করে বলা কঠিনও। ফলে চোরাশিকারীদের ভূমিকা ঘিরে প্রশ্ন থাকছেই।
এদিকে গত বছরে জানা গিয়েছিল, রাজ্যে বাড়ছে বাঘের সংখ্যা। প্রসঙ্গত চার বছর অন্তর এই বাঘশুমারি হয়। আর তাতেই দেখা গিয়েছিল বর্তমানে সুন্দরবনেই রয়েছে ১০১টি বাঘ। ২০১৮ সালে যা ছিল ৮৮। কিন্তু এবার আশঙ্কা ঘনাল বাঘমৃত্যু ঘিরে।
