সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিনগ্রহী বা এলিয়েনদের সঙ্গে পৃথিবীবাসীর যোগাযোগ এখনও পর্যন্ত কল্পবিজ্ঞানেই। এখনও পর্যন্ত বাস্তবে তা ঘটেছে বলে অন্তত প্রমাণ নেই। কিন্তু এত বড় বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড তো একটা ছোট্ট সুতোয় বাঁধা। সংযোগ তো আছেই কোনও না কোনওভাবে। তাই বাস্তব প্রমাণ না থাকলেও বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, এলিয়েন বা ভিনগ্রহীরা ঠিক সংকেত বুঝে আমাদের কথা আড়ি পেতে শুনছে। সম্প্রতি নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির সঙ্গে পেনসিলভ্যানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির যৌথ গবেষণা থেকে বিজ্ঞানীদের দাবি, কৃত্রিম উপগ্রহে পাঠানো কিছু কিছু সংকেত নাকি হারিয়ে যাচ্ছে। তারা মহাশূন্যে ভেসে চলে যাচ্ছে অনন্তের দিকে। আর এসব এলিয়েনদেরই নাকি কাজ। তারা 'চুরি' করে পৃথিবীবাসীর গোপন বার্তা পড়ে ফেলছে।
আমেরিকার জ্যোতির্বিজ্ঞানের ছাত্র পিনচেন ফ্যানের কথায়, ''মানুষ তো ভিনগ্রহ বিশেষত মঙ্গল নিয়ে গবেষণা করছে। অর্থাৎ আমরাও ভিনগ্রহীদের বার্তা পাঠাতে চাইছি। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, মঙ্গলে পাঠানো আমাদের সমস্ত বার্তা সেখানে পৌঁছচ্ছে না। কোনও এক সুদূরের যান তা আটকে দিচ্ছে। এটা তখনই সম্ভব, যখন কোনও পৃথিবীর এবং সৌরজগতের বাইরে কোনও কিছু একসূত্রে বাঁধা থাকে। আর এটাই আমাদের ভাবতে বাধ্য করছে যে, পৃথিবীর আশপাশেই এমন কোনও ভিনগ্রহ আছে কিনা, যারা আমাদের বিভিন্ন সংকেত কান পেতে শুনছে এবং বুঝতে চাইছে।'' বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীর নিকটবর্তীই কোনও শক্তিশালী ভিনগ্রহের বাসিন্দারা নিজেদের বুদ্ধির জোর সেসব সংকেত বুঝতে চাইছে। উলটোদিকে, পৃথিবীবাসীও তাদের জন্য কিছু কিছু সংকেত পাঠাচ্ছে।
নাসা ও পেনসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, অন্তত ২০ বছর ধরে ভিনগ্রহী বা এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। বিশেষত প্রতিবেশী মঙ্গলের বাসিন্দা কারা, সে বিষয়ে বেশি আগ্রহ আমাদের। পৃথিবী ও মঙ্গলের অবস্থানগত সাদৃশ্যের কারণে সেখান থেকে উভয়ের মধ্যে সংকেত বিনিময়ের বিষয়টি নিয়ে গবেষণা চলছে। গবেষক ফ্যানের মতে, ভিন্ন সৌরজগতের সঙ্গে এহেন আদানপ্রদানের বিষয়টি বেশ কঠিন।
