ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় : আর্যভট্ট, আইনস্টাইন থেকে নিউটন। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীদের কঠিন সব থিওরি এবার আম আদমির ধরাছোঁয়ায়। নানা ভাষা নানা মতের দেশ ভারতবর্ষে এবার বিজ্ঞানকে 'জলবৎ তরলং' সহজ করে তোলার কাজ শুরু করল শিক্ষামন্ত্রক। প্রধানত ইংরেজিতে প্রকাশিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণাধর্মী সব বই অনুবাদের কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে। এ দেশের মেঘনাদ সাহা, জগদীশচন্দ্র বসু থেকে আইজ্যাক নিউটন কিংবা স্টিফেন হকিং সমস্ত বিজ্ঞানীদের গবেষণা নিয়েই বই থাকবে তালিকায়। বাংলা-সহ দেশের মোট ২২টি স্বীকৃত ভাষায় বইগুলি অনুবাদ করা হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশ-বিদেশের সব আবিষ্কারের ঘটনা ও তত্ত্বের ব্যাখ্যা দেশের মানুষ তাঁদের নিজেদের ভাষায় শিখবেন। পশ্চিমবঙ্গে এই কাজ শুরু করছে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট বা আইএসআই। সোমবার থেকে ৩ দিনের কর্মশালায় এই অনুবাদের ক্ষেত্রে কী কী ব্যবহারিক কৌশল নেওয়া হবে। এবং সেই কৌশল নেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তা খুঁজে বের করা হবে।
আইএসআইয়ের অধিকর্তা সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ লিঙ্গুইস্টিক রিসার্চ ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ড: নীলাদ্রী শেখর দাশ এদিন মূল অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যেই অঙ্কের উপর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এর ব্যবহারিক প্রয়োগ কৌশলের দিকে বিশেষ নজর দিতে বিশেষজ্ঞরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। একইরকম ভাবে বাকি ভাষায় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীবনবিজ্ঞানের নানা কাজের উপর ইংরেজিতে প্রকাশিত বই অনুবাদের কাজ চলছে। অন্য ভাষার ক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই দায়িত্ব নিয়েছেন।
শুধু মূল ভাষার অনুবাদই নয়, ড: নীলাদ্রী শেখর দাশ জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈচিত্র্য বজায় রেখে সর্বভারতীয় গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের ওপরও জোর দেওয়া হবে এই কাজে। গোটা প্রক্রিয়ায় উদ্যোগী ভূমিকা রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রকের ভারতীয় ভাষা সমিতি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজেস-এর প্রধান অধ্যাপক এল. রামামূর্তি, ছিলেন হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুবাদ ও ভাষাবিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান প্রফেসর এস. অরুলমোজি, ড. মদনমোহন বাপুজি প্রমুখ।
